রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ : আরও দুজন গ্রেফতার

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ : আরও দুজন গ্রেফতার

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আরও দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, লালমনিরহাট সদরের পূর্ব মাজাপাড়া এলাকার করি মাহমুদের ছেলে বাবুল হোসেন (৩৮) এবং পূর্ব থানা পাড়ার মৃত কাচু মিয়ার ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)।

পিবিআই পুলিশের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার ভোরে ওই দুজনকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

এর আগে এ ঘটনায় সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়া ও তার সহযোগী সুরভি আক্তার ওরফে শম্পাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এএসআই রায়হানুল ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নগরীর হারাগাছ থানায় মামলা করা হয়।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সম্প্রতি হারাগাছ থানা থেকে বদলি হওয়া রংপুর মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। মেয়েটির সঙ্গে পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাক নাম রাজু বলে জানান।

সম্পর্কের সূত্র ধরে রবিবার সকালে ওই ছাত্রীকে ক্যাদারের পুল এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমের বাড়িতে ডেকে নেন রায়হানুল। সেখানে রায়হানুল ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর তার আরও কয়েকজন পরিচিত যুবককে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করান। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পরে কৌশলে সেখান থেকে সে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারাগাছ থানা পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং তার পরিবারকে খবর দেয়।

পুলিশ ওই সময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমকে এবং পরে রাতে অভিযান চালিয়ে সুরুভি নামে তার এক সহযোগীকে আটক করে। পরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য রাজুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।

ঘটনা যাচাইয়ের জন্য অভিযুক্ত এএসআই রায়হানুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। পরে সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের দিকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এমজে/