ভোট না দিলেও কীভাবে গণনা করতে হয়, সেই গুরু ইসি: মান্না

ভোট না দিলেও কীভাবে গণনা করতে হয়, সেই গুরু ইসি: মান্না

ভোট না দিলেও কীভাবে ভোট গণনা করতে হয়, সেই শিক্ষার প্রধান গুরু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন খেলাঘরের মতো। এই সরকার কোনো কাজ করতে পারে না। এদের দাসত্ব করছে এই নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষণীয় আছে, সিইসির এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মান্না বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার যথার্থই বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা থেকে আমেরিকার অবশ্যই শিক্ষণীয় আছে। জালিয়াতি জোচ্চুরির নির্বাচন কীভাবে করতে হয়, নির্বাচনের আগের রাতেই কীভাবে ভোট গণনা করতে হয়, ১০ মিনিটে কীভাবে ভোটের গণনা করে ফলাফল দিতে হয়, ভোট না দিলেও কীভাবে ভোট গণনা করতে হয়, সেই শিক্ষার প্রধান গুরু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নামে কালাকানুন এ দেশে আর চলতে পারে না।

আজ শুক্রবার সকালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ–১৯৭২ আইনে সংযোজিত ৯০বি ধারাসহ সব কালো আইন বাতিলের দাবিতে এক প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনপদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদ’ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সাত বছর ধরে তাঁর দল রয়েছে। এই দলের অনেকে ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছেন। নির্বাচন কমিশনে অনেক কাগজপত্র দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর দলকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। ভোট ডাকাতি, ভোট চুরি, জাল ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন চ্যাম্পিয়ন।

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রাজনীতি ও নির্বাচন করা, নির্বাচিত হওয়া ও ভোট দেওয়া মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের মাধ্যমে এ অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এ অযোগ্য নির্বাচন কমিশন ও অনির্বাচিত সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ২০ দলীয় জোটের শরিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, ১৪ দলীয় জোটের শরিক সংগঠন বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বাবুল, বাংলাদেশ বেকার সমাজের চেয়ারম্যান মো. হাসান, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ হোসেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক জোটের চেয়ারম্যান দেওয়ান খাইরুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনিবন্ধিত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতারা।