রোহিঙ্গা গণহত্যায় গাম্বিয়ার মামলা

ওআইসি তহবিলে ৫ লাখ ডলার দিলো বাংলাদেশ

ওআইসি তহবিলে ৫ লাখ ডলার দিলো বাংলাদেশ

রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল চেষ্টায় রাখাইনে সংঘটিত বর্মী গণহত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দায়ের করা গাম্বিয়ার মামলা পরিচালনায় ওআইসি’র সহায়তা তহবিলে ৫ লাখ ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। নাইজারের রাজধানী সিয়ামে ২৭-২৮শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত ওআইসি কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টার্স (সিএফএম)-এর ৪৭তম অধিবেশনে গাম্বিয়ার মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় ঢাকা। তহবিল গঠন প্রশ্নে ওআইসি’র সব সদস্যই নীতিগতভাবে সম্মতি জানায় এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তার অঙ্গীকার করে। সেখানে উদ্যোগী বাংলাদেশ ৫ লাখ ডলার সহায়তা দেয়।

করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে পূর্ব প্রস্তুতি সত্ত্বেও নাইজারের বৈঠকে অংশ নিতে পারেননি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তাদের অনুপস্থিতিতে ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে ওআইসি তহবিলে বাংলাদেশের অর্থ প্রদানের খবর দিয়েছে।

অবশ্য নাইজার সফরের প্রস্তুতি পর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানিয়েছিলেন- মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইনি যুদ্ধে গাম্বিয়াকে সর্বোতভাবে সহায়তার প্রস্তাব দেবে ঢাকা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে পশ্চিম আফ্রিকার ওই দেশটিকে আর্থিক সহায়তার আহ্বানও জানাবে বাংলাদেশ। মন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন- আমরা গাম্বিয়ার পাশে আছি। আইসিজে-তে আইনি লড়াই চালাতে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ওআইসি তহবিলে অর্থ দেবো। আইনজীবী নিয়োগ থেকে শুরু করে মামলা পরিচালনার সার্বিক কার্যক্রমে তাদের সহায়তার প্রয়োজন। গাম্বিয়ার সহায়তায় ওআইসি-কে বাংলাদেশ কত অর্থ দিচ্ছে? তা জানাতে সেদিন মন্ত্রী অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছিলেন সিএফএম-এর অধিবেশনই তহবিলের পরিমাণটি জানানোর উপযুক্ত স্থান। এবারের সিএফএম-এর প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য’। ওআইসি মহাসচিব নাইজার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।