১১ মাসে অবৈধ পন্থায় ইউরোপে পৌঁছেছেন কমপক্ষে ৫ হাজার বাংলাদেশী

১১ মাসে অবৈধ পন্থায় ইউরোপে পৌঁছেছেন কমপক্ষে ৫ হাজার বাংলাদেশী

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করেও ২০২০ সালের প্রথম ১১ মাসে কমপক্ষে ৫ হাজার বাংলাদেশী অবৈধ পন্থায় ইউরোপে পৌঁছেছেন বলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর সবশেষ তথ্যে জানিয়েছে। অবৈধ পন্থায় ইউরোপে পৌঁছানোর শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ স্থানে।

সংস্থাটি জানায়, ২০২০-র জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৪,৪০২ জন বাংলাদেশী শুধুমাত্র ভূমধ্যসাগর এবং বিভিন্ন স্থলপথ দিয়েই মরিয়া হয়ে ইউরোপে পৌঁছেছেন। ভূমধ্যসাগর পথেই ১১ মাসে ইতালীতে পৌছেছেন ৪,১২২ জন বাংলাদেশী। সব মিলিয়ে মোট কত সংখ্যক বাংলাদেশী ২০২০ সালে অবৈধ পন্থায় ইউরোপে পৌঁছেছেন তার কোন সঠিক তথ্য বাংলাদেশ সরকারসহ কারো কাছে নেই। জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলো জানায়, শত শত বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক এখন লিবিয়াসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশ এবং বসনিয়া, ক্রোয়েশিয়াসহ ইউরোপের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের দেশগুলোতে তীব্র শীতের মধ্যে ইউরোপের প্রধান প্রধান দেশগুলোতে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষমান রয়েছেন।

 

করোনাসহ নানা বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করেও বাংলাদেশীদের অবৈধ পন্থায় ইউরোপে যাবার কারণ সম্পর্কে অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশ্লেষক আসিফ মুনীর বলেন, পাচারকারী চক্রের সক্রিয়তাসহ নানা কারণে অবৈধ পন্থায় ইউরোপে যাবার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।

জাতিসংঘ ও মানবিক সহয়তাকারী সংস্থাগুলো বলছে, বিপজ্জনক পথে মৃত্যুঝুকি মাথায় নিয়ে ইউরোপে প্রবেশের অবৈধ পন্থা নিঃসন্দেহে বিরাট উদ্বেগের কারণ এবং অবিলম্বে এই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।