ফের বেড়েছে চাল-তেলের দাম, কমেছে আলু-পেঁয়াজের

ফের বেড়েছে চাল-তেলের দাম, কমেছে আলু-পেঁয়াজের

সপ্তাহের ব্যবধানে ফের বেড়েছে চালের দাম। বাজারে প্রতি কেজি চালে ৩ থেকে ৫ টাকা দাম বেড়েছে।

এছাড়া দাম বেড়েছে চিনি ও ভোজ্যতেলর। দাম কমেছে সবজি, নতুন আলু ও পেঁয়াজের। অন্যদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, গরু ও খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, মিরপুর-১ নম্বর বাজার, ২ নম্বর বাজার, ৬ নম্বর বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কলোনি বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, করলার ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে ১০ টাকা কমে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে।

হালিতে ৫ টাকা কমে কলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ টাকা, ছোট মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। দাম কমেছে নতুন আলু ও পেঁয়াজের। কেজিতে ২০ টাকা কমে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। ১০ টাকা দাম কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আদা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, রসুনের কেজি ১২০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি চিনিতে ৫ টাকস দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। প্রতি কেজি চালে ৩ থেকে ৫ টাকা দাম বেড়ে আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, পায়জাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেল লিটারে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়।

অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকা, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।

১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালী বা কক ১৯০ ও ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে ডিম, গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মাংস বিক্রেতা মো. কাল্লু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এখন বাজারে গরুর মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমাদের বাজারে গরুর মাংসের দাম কম আছে। কিন্তু যেসব বাজারে বেচাকেনা বেশি বা জমজমাট সেসব বাজারে ফের গরুর মাংস বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে গরুর মাংসের দাম ওঠানামা করছে।

এসব বাজারে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি এককেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, চিংড়ি প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ১৫০ থেকে ২২০ টাকা, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ দেশি মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, গুড়া বাইলা ১২০ টাকা, রূপ চাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আইর মাছ ৫০০, রিডা মাছ ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কালশী বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. রোহিম বাংলানিউজকে বলেন, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম আবার বেড়েছে। প্রতি কেজি চালে তিন থেকে পাঁচ টাকা করে দাম বেড়েছে। চালের বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি।

খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের ব্যারেল প্রতি দাম বেড়েছে। একারণে আবারো খুচরা বাজারে লিটার প্রতি পাঁচ টাকা বেড়েছে। মূলত করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বাজারে কমেছে শ্রমিক, একই সাথে তেলের উৎপাদন কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ভোজ্যতেলের দাম আবার বাড়তে পারে বলে জানান রহিম।

এমজে/