নিজ গ্রামে যাওয়ার শর্তে প্রত্যাবাসনে রাজি এই রোহিঙ্গারা

নিজ গ্রামে যাওয়ার শর্তে প্রত্যাবাসনে রাজি এই রোহিঙ্গারা

ঢাকা, ১৯ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : রাখাইনের নিজ গ্রামে পুনর্বাসিত করার শর্তেই কেবল প্রত্যাবাসনে রাজি আছেন বাংলাদেশ- মিয়ানমার সীমান্তের মধ্যবর্তী এলাকা নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকা পড়া রোহিঙ্গারা।

গত রবিবার রোহিঙ্গা শিবিরের এক নেতাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা জানায়, পুনর্বাসনের আগে সাময়িকভাবে ট্রানজিট ক্যাম্পে থাকার জন্য মিয়ানমার সরকারের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন নো ম্যানস ল্যান্ডের রোহিঙ্গারা। তাদের আশঙ্কা, ট্রানজিট ক্যাম্পে তাদের দীর্ঘমেয়াদে বন্দি রাখা হবে।

এএফপিকে রোহিঙ্গা নেতা জানান, চাপের কাছে নতি স্বীকার করে তারা মিয়ানমারে ফেরত যাবেন না, আবার বাংলাদেশেও ঢুকবেন না। নো ম্যানস ল্যান্ডে প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সহায়তাকারী সংস্থা রেড ক্রস তাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

গত বছর ২৫ আগস্ট থেকে পরিচালিত এই অভিযানে ‘জাতিগত নিধনের’ শিকার হয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার মুখে পড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই তদন্তের উদ্যোগ নিল।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘দেশহীন জনগোষ্ঠীতে’ পরিণত হওয়া রোহিঙ্গাদের নির্যাতন ও উচ্ছেদের সময় সেনা সদস্যরা সামরিক ‘কোড অব কন্ড্রাক্ট’ মেনে চলেছিলেন কি না বা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা পালন করেছিলেন কি-না এসব বিষয়ই খুঁজে দেখবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আয়ে উইনের নেতৃত্বাধীন এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। অভিযানের পর থেকে গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও উচ্ছেদের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। এখন পর্যন্ত সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এদের বেশির ভাগই শিশু।

জাতিসংঘ বলেছে, রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে অথবা নিয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩১৭ঘ.)