তাপসের মান-সম্মানের বাজারমূল্য কত, জানতে চান খোকন

তাপসের মান-সম্মানের বাজারমূল্য কত, জানতে চান খোকন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে দুটি মামলা করা হয়েছে। ডিএসসিসির বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে এই দুটি মামলা করা হয়। মামলার পর সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘তাপসের মান-সম্মানের বাজারমূল্য কত? মামলার পূর্ণাঙ্গ বিবরণী পাওয়ার পর সেটা আমি জানতে পারব। এ মামলায় আইনি মোকাবিলার পাশাপাশি রাজপথে দেনা-পাওনার হিসাব হবে, ইনশা আল্লাহ।’

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি শনিবার রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় কদম ফোয়ারার সামনে ডিএসসিসি কর্তৃক উচ্ছেদের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে সাঈদ খোকন বলেছিলেন, ‘তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাঁকে বলব, রাঘব বোয়ালের মুখে চুনোপুটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করুন, তারপর চুনোপুটির দিকে দৃষ্টি দিন।’

এ সময় সাবেক মেয়র অভিযোগ করে আরো বলেন, তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তাঁর নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন এবং এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং করছেন। অপরদিকে, অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র তাপস সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, ২য় ভাগের ২য় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

এ বিষয়ে গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ব্যারিস্টার তাপস সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কিছু বলে থাকেন, সেটার জবাব আমি দায়িত্বশীল পদে থেকে দেওয়াটা সমীচীন মনে করি না।’

এ সময় মেয়র তাপস আরো বলেন, ‘যদি কেউ উৎকোচ গ্রহণ করে, ঘুষ গ্রহণ করে, কোনো কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করে, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে, ঋণ দেওয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করে এবং সরকারি প্রভাব কাজে লাগিয়ে কারো কাছ থেকে কোনো কিছু জিম্মি করে অথবা কোনো কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কিছু অর্থ নিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়। এ ছাড়া যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা কোনোভাবেই কোনো বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্য নয়।’