মাঘের শুরু থেকে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। পাশাপাশি হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় ঢাকা থাকছে সকালের সময়টা।
গ্রামাঞ্চলেও আছে শীতের দাপট।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মাঘের শুরুতে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহজনিত শীতের দাপট আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। ২১ জানুয়ারির মধ্যে দেশের পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ সিলেট, বরিশাল, ঢাকার পূর্বভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তর ভাগসহ অন্যত্র দুয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে হালকা বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
সাধারণত বাতাসের গতিপ্রকৃতি ও তাতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি, বায়ুমণ্ডলে কুয়াশার প্রকোপ, ভূ-ভাগে সূর্যের কিরণকাল ইত্যাদির ওপর শীতের অনুভূতি নির্ভর করে। কখনও বাতাসের গতি কম থাকলেও শীতের অনুভূতি ও প্রকোপ বেশি মনে হয়। বর্তমানে প্রকৃতিতে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিত অংশের প্রভাবে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিত অংশটি গত ১৪ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে প্রবেশ করে। ওইদিনই দেশের বেশ কিছু অঞ্চল এই উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাবের আওতায় আসে।
তিনি বলেন, উচ্চচাপ বলয়টির কেন্দ্র এখন পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী দুই থেকে তিনদিন দেশে তাপমাত্রার পারদ প্রায় এখনকার মত বা তার আশেপাশেই থাকবে। এরপর বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে অন্তত দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। এছাড়া একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সময়কালে বিভিন্ন বিভাগের জেলাগুলোতে কনকনে শীত অনুভূত হবে। গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হবে। সারাদেশের মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু অংশ এবং সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি থাকবে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঘাইছড়ি ও এর আশপাশের এলাকায় শীতের তীব্রতা থাকবে।
এমজে/