পি কে হালদারের আরো দুই ‘সহযোগী’ গ্রেপ্তার

পি কে হালদারের আরো দুই ‘সহযোগী’ গ্রেপ্তার

অর্থ আত্মসাতে পি কে হালদারকে সহযোগিতার অভিযোগে পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল নন্দী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও পরিচালক প্রণব ভট্টাচার্য।

দুদক কর্মকর্তা আরো জানান, পিপলস লিজিংয়ের সাবেক কর্ণধার কানাডায় পলাতক পি কে হালদারকে অর্থ আত্মসাৎ বা পাচারে সহযোগিতা করেছেন উজ্জ্বল নন্দী ও রাশেদুল হক। তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পি কে হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে লোপাট করেছেন অন্তত তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পি কে হালদার প্রথমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পরে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এমন আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) ইত্যাদি।

অভিযোগ রয়েছে, ওই সব প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন এবং নতুন আরো কিছু কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেছেন পি কে হালদার। নিজেও পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে মামলা করার আগেই লাপাত্তা হন পি কে হালদার।

অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারে সহযোগিতা করেছে, এমন ৮৩ জনের নাম জানতে পেরেছে দুদক। পি কে হালদারকে অর্থ আত্মসাতে সহযোগিতার অভিযোগে তাঁর বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, একজন আইনজীবী ও তাঁর মেয়েসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। পি কে হালদার বিদেশে পলাতক থাকায় বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল।