ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে দুর্ব্যবহার : ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে কুষ্টিয়ার এসপি

ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে দুর্ব্যবহার : ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে কুষ্টিয়ার এসপি

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত নিজের ব্যাখ্যা দিতে সশরীরে হাইকোর্টে উপস্থিত হয়েছেন। ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্বরত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে ‘দুর্ব্যবহারের’ ঘটনায় হাইকোর্ট তাকে তলব করেছেন।

সোমবার সকালে এসপি এস এম তানভীর আরাফাত হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হন।

এর আগে রোববার আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে অনুতপ্ত হয়ে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেছেন এসপি আরাফাত।

আবেদনে তিনি বলেছেন, তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে চিনতে পারেননি। তাই এমন অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্ব পালনে আরো সতর্ক হবেন। এ ধরনের ভুল আর কখনো হবে না।

আবেদনে তিনি আরো বলেন, বিচার বিভাগের জন্য আমার মনে সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই বিন্দুমাত্র অসম্মান দেখানোর কথা দূরে থাক, বরং বিচার বিভাগের দেয়া কাজে নিয়োজিত হতে পারলে নিজেকে সম্মানিত বোধ করি। এ ঘটনায় আমি মনের গভীর থেকে অনুতপ্ত। এ জন্য আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্বরত এক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে ‘দুর্ব্যবহারের’ ঘটনায় এসপি তানভীরকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এছাড়া আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

গত ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এসপিকে তলব করে আদেশ দেন।

হাইকোর্ট বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা ও আইন অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রে বিচারিক দায়িত্ব পালন করছিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহসিন হাসান। কিন্তু দায়িত্বরত একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে ওই পুলিশ সুপার যে আচরণ করেছেন তা আদালত অবমাননার শামিল। উনার (এসপি) এই কর্মকাণ্ড শুধু বিচার প্রশাসনে হস্তক্ষেপই নয় বরং পুরো বিচার বিভাগের প্রতি প্রচণ্ড আঘাতের সামিল। উনার এই কর্মকাণ্ডকে আমরা (আদালত) এড়িয়ে যেতে পারি না। এছাড়া এটাকে হালকাভাবে নেয়ারও সুযোগ নেই। উনি শুধু গুরুতর আদালত অবমাননাই করেননি, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ন করেছেন।

এমজে/