দুই মাস্টার কারাগারে, সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

দুই মাস্টার কারাগারে, সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

লঞ্চ দুর্ঘটনার এক মামলায় আদালত দুই মাস্টারের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোয় ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন লঞ্চ শ্রমিকেরা।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, একটি মামলায় জামিনে থাকা দুই মাস্টার সোমবার মেরিন কোর্টে গিয়েছিলেন। সেখানে তাদের জামিন না হওয়ায় শ্রমিকরা দুপুরে পন্টুন থেকে লঞ্চ সরিয়ে নেন। তবে চাঁদপুর রুটের লঞ্চ লালকুঠির ঘাট দিয়ে চলাচল করছে। সদরঘাটের মূল পন্টুনের লঞ্চগুলো তারা সরিয়ে নিয়েছে। মূল পন্টুনের লঞ্চগুলো সাধারণত বিকেল থেকে যাত্রা শুরু করে।

নৌ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ঘটনাটি হঠাৎ করেই ঘটেছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।

দুপুর ২টা থেকে কর্মবিরতি চলছে বলে জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশালের সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার। তিনি জানান, গেল বছর মেঘনায় ঘন কুয়াশায় একই কোম্পানির অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামক দুটি লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি। তারপরও দুই মাস্টারসহ চারজনের সার্টিফিকেট চার মাসের জন্য জব্দ করা হয়। তারপর মেরিন আদালতে মামলা হলে আজ স্বেচ্ছায় হাজিরা দিতে গেলে দুই লঞ্চের মাস্টার রুহুল আমিন ও আলমাসকে জেলহাজতে পাঠান বিচারক।

এর প্রতিবাদেই নৌ শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে গেছেন জানিয়ে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী বলেন, কোথায় দুর্ঘটনায় ঘটেছে, তার হদিস নেই। চার মাস এই দুজনের সার্টিফিকেট ‘হোল্ড’ করে রাখা হয়েছিল। জামিন না দেওয়ায় কোনো কারণ ছিল না। শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানাতে ঘাট থেকে লঞ্চ সরিয়ে নিয়েছে।

সন্ধ্যার পর লঞ্চ চলবে কি না জানতে চাইলে শাহ আলম চৌধুরী বলেন, ‘এটা আমার ওপর নির্ভর করছে না। শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ।’

সদরঘাট থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, হাতিয়াসহ ৪৩ রুটে প্রতিদিন ৭০টির বেশি লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়।