টিকা নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬৩০ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

টিকা নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬৩০ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ২১ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন: জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে।

আর এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৩ জন। তাদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৬৩০ জনের। পাশাপাশি এ পর্যন্ত করোনার টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২৩৫ জন।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৫ হাজার ৩১৮ জন এবং নারী ৬৭ হাজার ৫৭৮ জন।

বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগে ৬২ হাজার ২৩৯ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ হাজার ১৮১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ হাজার ৭০৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ হাজার ৬৫১ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ৭৬৫ জন, খুলনা বিভাগে ২২ হাজার ৮১৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ হাজার ৪৪৩ জন ও সিলেট বিভাগে ৯ হাজার ৮৬ জন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্যানুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।

করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এ দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।

এর আগে স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।

এছাড়া ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম। আপাতত ২ হাজার ৪০০ জনকে দিয়ে বুধবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) কর্মসূচি শুরু হবে।