আদালতের সময় নষ্ট করায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা

আদালতের সময় নষ্ট করায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা

আদালতের সময় নষ্ট করায় আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে জরিমানার ওই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলা করে তা না চালানোর প্রেক্ষাপটে এই আদেশ দেওয়া হয়।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। মামলা না চালানোর কথা জানানোর প্রেক্ষাপটে এ-সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

সমবায় সমিতি আইন ও সমবায় অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের এক স্মারকের ভিত্তিতে রেজিস্ট্রারের অনুমোদন ছাড়া আজিজ কো-অপারেটিভের বিরুদ্ধে মামলা না করতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।

কো-অপারেটিভের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম রিটটি করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ মে হাইকোর্ট রুল দেন। একই সঙ্গে সমবায় অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের অনুমোদন ছাড়া আবেদনকারীর বিরুদ্ধে মামলা না করতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আবেদনকারীকে হয়রানি না করতে এবং অনুসন্ধান ছাড়া আজিজ কো-অপারেটিভ নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ না করতে ছয় মাসের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। রিটটি আজ রায়ের জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ছিল।

আদালতে রিট আবেদনকারী আজিজ কো-অপারেটিভের পক্ষে আইনজীবী মুহাম্মদ তারিকুল ইসলাম শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি।

পরে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, রিট করে তা না চালানোর কথা বলে রিট আবেদনকারী পক্ষ। আদালতের সময় নষ্ট করায় হাইকোর্ট আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। আদালত তিন মাসের মধ্যে ওই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।