আলেক হত্যা : ৮ জনের যাবজ্জীবন

আলেক হত্যা : ৮ জনের যাবজ্জীবন

আলেক হত্যা মামলার রায়ে ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তাদেকে এ সাজা দেন।

২০০৮ সালের ২৫ জুন রাজধানীর তুরাগ থানার নলভোগ এলাকায় জমিজমার বিরোধের জেরে আসামিরা ভিকটিমের বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আলেককে হত্যা করে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, আ: রাজ্জাক, আ: সাত্তার, আ: জব্বার, আউয়াল মিয়া ওরফে আউয়াল, সমর আলী ওরফে সমর ও তমিজ উদ্দিন ওরফে তমু।

রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম করাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া আসামি সোহেল রানা, সোহরাব মিয়া, বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল ও ফিরোজ মিয়াকে পৃথক দু’ধারায় দেড় বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি বারেক, মোস্তফা ও মো: ওমর আলীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জমিজমা বিরোধের জের ধরে আসামিরা ২০০৮ সালের ২৫ জুন তুরাগ থানার নলভোগ গ্রামের আলেক মিয়ার বাড়িতে ঢুকে লোহার রড, রামদা, হকিস্টিক, শাবল, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে বাড়ির লোকজনদের মারতে শুরু করে। এ সময় ভয়ে আলেক মিয়া বাড়ির ছাদে যান। আসামি সমর আলী ও তমিজ উদ্দিন ছাদে গিয়ে আলেক মিয়াকে জাপটে ধরেন। আসামি আলাল, রাজ্জাক, জয়নাল রড দিয়ে তার মাথায়, শরীরে আঘাত করতে থাকে। সাত্তার শাবল দিয়ে ভিকটিমের কানের নিচে আঘাত করেন। গুরুতর আহত আলেক মিয়া ছাদে পড়ে যান। এরপরও জব্বার এবং আউয়াল তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। তাকে ভাসানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহরে ছোটভাই হাজী মো: রমজান আলী তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন আলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, আ: রাজ্জাক, আ: সাত্তার, আ: জব্বার, আউয়াল মিয়া ওরফে আউয়াল, তমিজ উদ্দিন ওরফে তমু, সমর আলী ওরফে সমর, মোস্তফা, ওমর আলী, আ: বারেক, সোহেল রানা, সোহরাব মিয়া, বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল ও ফিরোজ মিয়া।

২০০৮ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই মিজানুর রহমান। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় ২৮ জনের মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

এমজে/