রফিকুল ইসলাম মাদানী দুদিনের রিমান্ডে

রফিকুল ইসলাম মাদানী দুদিনের রিমান্ডে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন গাজীপুরের একটি আদালত।

শুক্রবার গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রফিকুল ইসলাম মাদানীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

ওসি বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাঁকে আগামীকাল রিমান্ডের জন্য থানায় নিয়ে আসা হবে। এরপরেই জিজ্ঞাসাবাদের কার্যক্রম শুরু হবে।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক মো. শরিফুল ইসলাম। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানায় মামলা করা হয়।

এর আগে রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোনা থেকে আটক করে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যা ব।

নথিতে বলা হয়েছে, রফিকুল ইসলাম মাদানী নানা সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি রাষ্ট্রবিরোধী নানা উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন। এতে জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে।

নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ধর্মীয় বক্তা হিসেবে জনপ্রিয়। বয়সে যুবক হলেও শারীরিক গঠনের কারণে লোকজন তাঁকে ‘শিশুবক্তা’ বলে অভিহিত করে থাকেন। যদিও এই নাম নিয়ে তিনি নিজেও অনেক সময় আপত্তি করেছেন।

এর আগে গত ২৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে রাজধানীর ঢাকার মতিঝিল থানা ও গাজীপুরে আরেকটি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।