বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার সন্ধ্যায় মির্জা আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোন করেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছি।’
এর আগে, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যেতে তার পরিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন মির্জা আলমগীর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্রেও জানা গেছে, সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানাতে মির্জা ফখরুল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন।
দুপুরে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে খালেদা জিয়াকে দুপুর ২টায় সিসিইউতে নেওয়া হয়।
গত ১০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার পর খালেদা জিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়ে। শুরুতে তিনি গুলশানে তার ভাড়া বাসা ফিরোজায় ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকীর অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এরপর, ২৭ এপ্রিল আবার সিটি স্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার কথা জানান তার চিকিৎসক। দিবাগত সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়। তাকে কার্ডিওলজিস্ট ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে রাখার কথা তখন জানিয়েছিলেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।