‘করোনার জিনত্বত্ত না জেনে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বলা যাবে না’

‘করোনার জিনত্বত্ত না জেনে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বলা যাবে না’

ভারত ফেরত দুই বাংলাদেশি করোনা পজিটিভ হলেও তাঁদের শরীরে করোনার 'ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট' আছে কি না, তার জিনতত্ত্ব জানতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি'র ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির।

তিনি জানান, নমুনা বৃহস্পতিবার (১৩ মে) রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। গবেষণাগারে রোগীর নমুনার বিশ্লেষণ শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পেতে কয়েকদিন লাগতে পারে।

শনিবার বিকালে তিনি জানান, গত বুধবার প্রথমে একজন রোগী জ্বর ও শরীরে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ঐ রোগী জানান, তাঁর পরিবারের আরেকজনও গায়ে ব্যাথা ও জ্বর নিয়ে ভুগছেন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন তাঁদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে আরও জানা গেছে, দু'জনই কিছুদিন আগে ভারত থেকে দেশে এসেছেন। ডিএনসিসি হাসপাতালে তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সংগে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএনসিসি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির জানান, পরীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে কি না, তা বলা ঠিক হবে না। তবে ভারতফেরত যেসব রোগী হাসপাতালে আসছেন তাঁদের কঠোর সতর্কতার সংগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। এই সময় তিনি প্রত্যেককে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় একটি করে মাস্ক পরার অনুরোধও করেন। অন্যথায় দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে তা ভয়াবহ হবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভারতে প্রথম শনাক্ত বি.১.১৬৭ নামে করোনার ধরনটি বিশ্বের ৪৪টি দেশে শনাক্ত হয়েছে।