দুবাইর দুই প্রিন্সেস পড়েছেন প্যাগাসাসের খপ্পরে

দুবাইর দুই প্রিন্সেস পড়েছেন প্যাগাসাসের খপ্পরে

স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিআইপিদের ফোন হ্যাক করার ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে তালিকা পাওয়া গেছে তাতে প্রিন্সেস লতিফা ও প্রিন্সেস হিয়ার মোবাইল ফোনের নাম্বার রয়েছে।

লতিফার বাবা দুবাইর শাসক মোহাম্মদ বিন রশীদ আল মাকতুম। লতিফার মা প্রিন্সেস হিয়ার সাথে মোহাম্মদ বিন রশীদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। দুজনের সঙ্গেই দুবাই-শাসকের চরম বৈরিতার কথা মা-মেয়ে নিজের মুখেই জানিয়েছেন।

প্রিন্সেস লতিফা গত ফেব্রুয়ারিতে বন্ধুদের মাধ্যমে বিবিসির বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও পাঠান। সেখানে লতিফা আল মাকতুম পিতার বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে বলেন, তাকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।

লতিফা এও বলেন, তিনি বোটে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সরকারি কমান্ডোরা তাকে ধরে ফেলে। এরপর মাদকাচ্ছন্ন করে আবার তাকে বন্দীশালায় ফিরিয়ে নেয়।

অন্যদিকে, প্রিন্সেস হিয়া ২০১৯ সালে দুবাই থেকে পালিয়ে লন্ডন চলে যান। তিনি দুবাইতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে জানান। সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনেন।
মোহাম্মদ বিন রশীদ আল মাকতুম দুই প্রিন্সেসের আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তুমুল আলোচিত দুই প্রিন্সেস যে হ্যাকিং এর শিকার, ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের সফটওয়্যার ব্যবহার করে এটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে এনএসও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। তাও সামরিক বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর কাছে বিক্রি করা হয়।

ইসরায়েলী কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করছে সরকার।

এমজে/