২৩ অক্টোবর সারাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণঅবস্থান কর্মসূচি

২৩ অক্টোবর সারাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণঅবস্থান কর্মসূচি

দেশের বিভিন্ন এলাকায় পূজামণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে আগামী ২৩শে অক্টোবর চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গণঅবস্থান ও গণঅনশন কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও পূজারমন্ডপে হামলা চালানো হয়েছে। ব্যানার ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত আমাদের অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আগামী ২৩শে অক্টোবর ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকার শাহবাগে ও চট্টগ্রামের অন্দরকিল্লায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ প্রশাসনের অনুরোধ মেনে নিলেও আমরা আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছি। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে যেভাবে পূজাম-প ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

মহাঅষ্টমীর দিন কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির উত্তর পাড় এলাকায় অস্থায়ী পূজাম-প ভেঙে দেয়া হয়েছে। চানমনি কালিবাড়ির বিগ্রহ ও ফটকে অগ্নিসংযোগ ও ১৭টি পূজাম-পের তোরণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একইদিন হাতিয়ার ৭টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি লক্ষীপুর জেলার রামগতি সীতারাম ঠাকুর সেবাশ্রম, গাজীপুরের কাশিমপুরে সুবল দাসের মন্দির ও কাশিমপুর বাজার কালী মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ অক্টোবর নোয়াখালীর চৌমুহনীতে এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে আবারও সাম্প্রদায়িক হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইসকন মন্দিরের প্রভু মলয় কৃষ্ণ দাসের মাথায় আঘাত করে তাকে নির্মমভাবে খুন করেছে। চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায়ও তারা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির জেএম সেন হলের পূজামন্ডপে হামলা চালায় ও তোরণ ভেঙে ফেলেছে। এগুলো সবই পরিকল্পিত।