ভুয়া বিলে শিল্পকলা একাডেমিতে ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ, কাঠগড়ায় ডিজি

ভুয়া বিলে শিল্পকলা একাডেমিতে ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ, কাঠগড়ায় ডিজি

খরচ না করেও অ্যাপায়নের ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে তুলে নেয়া হয়েছে রাষ্ট্রের প্রায় ৪৪ লাখ টাকা। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এই জালিয়াতিতে সই রয়েছে শিল্পকলা একাডেমি মহাপরিচালকের। যদিও ওই বিলে সই করেননি একাডেমির তৎকালীন সচিব।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। যে উপলক্ষে গত বছর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ণাঢ্য পরিবেশনা ছিল শিল্পকলা একাডেমির। ওই অনুষ্ঠানে ৯ দিনের আপ্যায়ন বিল এসেছে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের হাতে।

শিল্পকলা একাডেমির অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলামের অনুকূলে দেয়া বিলের ১৭ অনুচ্ছেদে ৯৮টি ভাউচারের বিপরীতে মহড়ার আপ্যায়ন ব্যয় দেখানো হয় ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৪ টাকা। হিসাব ও অর্থ বিভাগের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আল হেলাল বিলটি উপস্থাপন করেন একাডেমির তৎকালীন সচিব ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপনে আপ্যায়ন কমিটির আহবায়ক নওসাদ হোসেনের কাছে। যা তিনি অনুমোদন করেননি। কিন্তু টেবিল ঘুরে মহাপরিচালকের কাছে গেলেই পেয়ে যায় অনুমোদন।

কিন্তু এই টাকা আসলেই কি খরচ হয়েছে আপ্যায়নে? সে সত্যতা মেলাতে ৯৮টি বিল ভাউচারসহ উল্লিখিত কয়েকটি খাবারের দোকানে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।

শুধু হাতিরপুলের শর্মা হাউজই নয় সেগুনবাগিচায় অবস্থিত অন্যান্য খাবার দোকানে এই বিলের কাগজ দেখানো হলে চোখ কপালে ওঠে ম্যানেজারের।

এ বিষয়ে মহাপরিচালকের বক্তব্য জানতে শিল্পকলা একাডেমিতে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি লিয়াকত আলী লাকী। সাড়া মেলেনি মোবাইল ফোনেও। তবে মহাপরিচালকের পক্ষে টেলিফোনে কথা বলেছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা।

৬ বার পুনঃনিয়োগ পাওয়া লিয়াকত আলী লাকী মহাপরিচালকের চেয়ারে আছেন ১১ বছর ধরে। তার বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাৎ, নিয়োগ জালিয়াতিসহ নানা দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। ব্যতয় অনিয়মের বিষয় উঠে এসেছে সরকারের নিরীক্ষা রিপোর্টেও।

এমজে/