মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে মিলার

বাংলাদেশে মানবাধিকার, আইনের শাসনে গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশে মানবাধিকার, আইনের শাসনে গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের

ঢাকায় বিদায়ী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারের কথাও বলেন।

বুধবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে এক টুইট বার্তায় আর্ল মিলার এসব মন্তব্য করেন।

ওই সৌজন্য সাক্ষাতের পর সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়ে দুই দেশের সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত বলেন, নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পাশাপাশি সম্প্রতি শেষ হওয়া নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং বিপুলসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশের উদার অবস্থানের প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এ নিয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানব পাচার প্রতিবেদনে গত বছর বাংলাদেশের এক ধাপ উন্নতি হয়েছে। এ নিয়ে রাষ্ট্রদূতকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছি। দুই দেশ মানব পাচার প্রতিরোধে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে আমরা একমত হয়েছি।’

পররাষ্ট্র সচিব জানান, ২০২১ সালের শুরুতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। এ সময় পররাষ্ট্রসচিব নিজে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তদারক করায় তাকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জানান।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হবে। দুই দেশের রাজধানীতে কীভাবে আরও ভালোভাবে অনুষ্ঠান করা যায় সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কোভিডের কারণে দীর্ঘ দিন দুই পক্ষের অনেক বৈঠক হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছর ও আগামী বছর আমরা কীভাবে বৈঠকগুলো করতে পারি, সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

আর্ল মিলার পররাষ্ট্রসচিবকে জানান নতুন যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় আসবেন। তাঁকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার জন্য তিনি পররাষ্ট্রসচিবকে অনুরোধ জানান।