বিভিন্ন দেশের নববর্ষ উৎসব

বিভিন্ন দেশের নববর্ষ উৎসব

ঢাকা, ১৪ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশের মতো বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশে এপ্রিলের মাঝামাঝি নববর্ষ উদযাপন করা হয়৷ এছাড়া চীন ও ইরানের নওরোজ উৎসবও বেশ ঘটা করে পালিত হয়৷

ইরানের নববর্ষ উৎসব ‘নওরোজ’
ইরানের নববর্ষ উৎসব৷ বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো পরবগুলোর মধ্যে এটি একটি৷ শুরুটা ইরানে হলেও এখন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ এই উৎসব উদযাপন করেন৷ এটি বাসন্তী উৎসবও বটে৷ ইউনেস্কো নওরোজকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকায় তুলে নেয়৷ ২০ বা ২১ মার্চ, রাত আর দিন যখন সমান হয়, তখন নওরোজ উদযাপিত হয়৷ নওরোজের মানে নতুন ঘাস, প্রকৃতিতে নতুন পল্লবের ছোঁয়া৷

চীনা নববর্ষ
বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত উৎসব৷ ঈদের মতোই এই উৎসব উপলক্ষ্যে শহরের মানুষ গ্রামে পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চায়৷ কারণ ঐতিহ্য অনুযায়ী, নতুন বছর শুরুর আগের রাতে পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে মিলে রাতের খাবার খান৷ এই সময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা হয়৷ লাল কাগজ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে দরজা, জানালা সাজানো হয়৷ আর আতশবাজি পুড়িয়ে ভূতপ্রেত তাড়ানোর ব্যবস্থা হয়৷ একেক বছরে একেক তারিখে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) এটি পালিত হয়৷

থাইল্যান্ডে নববর্ষ উৎসব ‘সংক্রান’
প্রতিবছর এপ্রিলের ১৩ তারিখ থাইল্যান্ডে নববর্ষ উৎসব পালিত হয়৷ তবে ১৪ ও ১৫ তারিখেও ছুটি থাকে৷ পানি ছিটিয়ে একে-অপরকে ভিজিয়ে দেয়া এই উৎসবের একটি অংশ৷ অনেক থাই নাগরিক এই ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বয়স্কদের সঙ্গে দেখা করেন৷

আসামে নববর্ষ উৎসব ‘রাঙ্গলি বিহু’
আসামের নববর্ষ উৎসব এটি৷ ১৪ কিংবা ১৫ এপ্রিল এটি উদ্যাপিত হয়৷ রাঙ্গলি বিহুর একটি অংশ ‘গরু বিহু’৷ গরু যেহেতু কৃষকের জীবিকা আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তাই এই সময় গরুকে গোসল করিয়ে তার পূজা করা হয়৷ এছাড়া সেসময় রঙের খেলা আর নাচ-গানেরও আয়োজন থাকে৷

বৈশাখী
শিখ ধর্মের অনুসারীরা প্রতিবছর ১৪ এপ্রিল নববর্ষ উদ্যাপন করে৷ এটি একটি ফসল তোলারও উৎসব৷ এদিন সকালে ভক্তরা ফুল নিয়ে গুরুদুয়ারায় হাজির হন৷ সেখানে গান-বাজনার ব্যবস্থা থাকে৷ এছাড়া ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে৷

আলুথ অভুরুদ্দ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের মতো শ্রীলংকাতেও ১৩ কিংবা ১৪ এপ্রিল নববর্ষ উদযাপিত হয়৷ গরুর গাড়ির দৌড় এই উৎসবের একটি অংশ৷

থিনজান
মিয়ানমারের নববর্ষ উৎসব৷ এপ্রিলের মাঝামাঝি এটি পালিত হয়৷ পানি নিয়ে খেলা এই উৎসবের একটি বড় অংশ৷ চার-পাঁচদিন ধরে চলা এই উৎসবে তরুণ-তরুণীরা নাচে-গানে মেতে উঠেন৷

চউল চনাম থিমে
কম্বোডিয়ার নববর্ষ৷ সাধারণত ১৩ কিংবা ১৪ এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়৷ তবে ছুটি থাকে তিনদিন৷ সংক্রান আর থিনজানের মতো পানি খেলা এই উৎসবেরও মূল আকর্ষণ৷ এই সময় ঘরে ঘরে বিশেষ খাবারও রান্না করা হয়৷ -ডয়চে ভেলে।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২১১৬ঘ.)