৬৭ শতাংশ সেবা গ্রহীতা ঘুষ দিতে বাধ্য হন: টিআইবি

৬৭ শতাংশ সেবা গ্রহীতা ঘুষ দিতে বাধ্য হন: টিআইবি

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি খাতে সেবা নিতে গিয়ে সেবা গ্রহীতারা দুর্নীতির শিকার হন। এক জরিপে দেখা গেছে ৬৭ শতাংশ সেবা গ্রহীতা বা প্রত্যাশীকে কোনো না কোনোভাবে ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। যারা ঘুষ দিয়েছে তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মনে করেন এছাড়া সেবা পাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই।

রবিবার বিকালে গাজীপুর জেলা পরিষদ হলরুমে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে ‘স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলন: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, আমাদের দুর্নীতি যদি মধ্যম পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে উন্নীত করা সম্ভব। কঠিন হলেও দুর্নীতিরোধ করা অসম্ভব নয়। দুর্নীতি রোধ করতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা যদি একসঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন, তবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া কোনো দেশই দুর্নীতিরোধ করতে পারেনি। দুর্নীতি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, এটা অবশ্যই দুর্নীতিবাজদের জানাতে হবে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে পারলে দুর্নীতি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। দুর্নীতি হ্রাসের আরেকটি শক্তিশালী বিষয় হচ্ছে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), গাজীপুর জেলার সভাপতি অধ্যাপক মো. আয়েশ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ, গাজীপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম খান, গাজীপুর সরকারী মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক এমএ বারী।

আরো ছিলেন গাজীপুর সনাকের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক, অধ্যাপক মো. শহীদ উল্লাহ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান, গাজীপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর শরণ সাহা, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান, বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আক্তারুজ্জামান শুকুর, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষন দাস প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২৫৯ঘ.)