হিলারি, চেরি ব্লেয়ার, ইউনূসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি সংসদে

হিলারি, চেরি ব্লেয়ার, ইউনূসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি সংসদে

পদ্মা সেতু নিয়ে দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র এমপি মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন।

তিনি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও ইংল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী চেরি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানান। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবর রহমান।

মুজিবর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতু যাতে বাস্তবায়িত না হয়, এ জন্য দেশি-বিদেশি যারা এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দাবি জানাই, ড. ইউনূস, হিলারি ক্লিনটন, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রীর ওপর স্যাংশন দেওয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এসে নতুন করে কোনো ষড়যন্ত্র না করতে পারে।’

বাংলাদেশের যারা পদ্মা সেতুর বিরদ্ধে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান মুজিবর রহমান।

যারা গরিবের হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেন, যারা বিদেশের ব্যাংকে টাকা রেখেছেন, যাদের নাম পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে এসেছে, তাদের শিগগিরই দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও উল্লেখ করেন মুজিবর রহমান।

আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে বলতে চাই কোনো অপরাধ ছাড়া কেন এই ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। এরই মধ্যে কানাডার আদালতে প্রমাণ হয়েছে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। পদ্মা সেতু যাতে বাস্তবায়ন না হয় এজন্য দেশ-বিদেশে যারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এসময় তিনি ড. ইউনূস, হিলারি ক্লিনটন ও টনি ব্লেয়ারের স্ত্রীর ওপর স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেওয়ার দাবি জানান। যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এসে নতুন করে কোনো ষড়যন্ত্র না করতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দিয়ে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নিক্সন। তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করেন তিনি।

মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে এরইমধ্যে প্রমাণ করেছেন তার সরকারের আমলে কেউ অপরাধ করে রেহাই পাবে না। গরিবের হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে যারা বিদেশের ব্যাংকে রেখেছেন, যাদের নাম পানামা পেপারস এবং প্যারাডাইস পেপারসে এসেছে- শিগগির দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী ভাইয়েরা বড় ভূমিকা পালন করেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। প্রবাসী ভাইয়েরা বিমানবন্দরে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন। বিমানবন্দরে নেমে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যেন হয়রানির শিকার না হন সে লক্ষ্যে থার্ড টার্মিনালে ট্যাক্স, কাস্টমস সেল স্থাপনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।