সীতাকুণ্ডে আগুনে নিহত: ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট

সীতাকুণ্ডে আগুনে নিহত: ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দুই কোটি টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। একইসঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সিসিবি (চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ) ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই রিট দায়ের করা হয়। রিটের আইনজীবীরা হলেন- ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব, এডভোকেট ইশরাত হাসান ও এডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, স্মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিএম কন্টেইনার বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়, গত ৪ঠা জুন শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে প্রায় অর্ধশত নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। অনেকেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। খবরে প্রকাশ, স্মার্ট গ্রুপের বিএম কন্টেইনার নামক কোম্পানির দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা দেয়া ছাড়াই মজুত করার কারণে আগুনে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফায়ার সার্ভিসের কাছে মজুতকৃত রাসায়নিক পদার্থগুলোর প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকায় অনেক উদ্ধারকর্মী নিহত এবং আহত হয়েছেন। রিটে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ আদায়ের কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী জীবনের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ সরাসরি লঙ্ঘন করেছেন।