বাংলাদেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং স্থায়ী হচ্ছে আরও ৩ বছর: রিপোর্ট

বাংলাদেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং স্থায়ী হচ্ছে আরও ৩ বছর: রিপোর্ট

গ্যাসের দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ নিশ্চিতে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভ্রাট আরও তিন বছর স্থায়ী হবে বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে ব্লুমবার্গ।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসূত জ্বালানির অতিরিক্ত মূল্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উচ্চ মূল্যের ফলে কম গ্যাস আমদানি দেশগুলোর একাধিক শহরে জন্ম দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।

ব্লুমবার্গএনইএফের তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার বদ্বীপ বাংলাদেশ চলতি বছর স্পট ভিত্তিতে তার চাহিদার মাত্র ৩০ শতাংশ এলএনজি আমদানি করেছে। যা বিগত বছরে ছিল ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক সাক্ষাৎকারে জানান, জুন মাসে উচ্চ মূল্যের ফলে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। দেশটিতে এলএনজি সরবরাহকারী কাতারসহ অন্যান্য রফতানিকারকরা ইঙ্গিত দিয়েছে ২০২৬ সালের আগে চাহিদার অতিরিক্ত এলএনজি সরবরাহ করবে না।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরও জানান, যতক্ষণ না দীর্ঘমেয়াদী গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হচ্ছে, ততক্ষণ বাংলাদেশ স্পট মার্কেটর থেকে গ্যাস ক্রয় এড়িয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। আপাতত মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে বিদ্যমান সরবরাহ চুক্তির ওপর নির্ভর করা হবে।

এ বিষয়ে ব্লুমবার্গএনইএফ-এর গ্যাস বিশ্লেষক লুজিয়া কাও বলেন, ‘‘এ বছর থেকে ২০২৬ পর্যন্ত উদীয়মান এশীয় বাজারগুলোকে প্রত্যাশারও তুলনায় ধীরগতির এলএনজি চাহিদা বৃদ্ধি দেখতে হবে। কারণ মূল্য সংবেদনশীল ক্রেতারা ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি কমিয়েছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্য এবং আমদানি অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে তীব্র গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।’’

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জ্বালানির উচ্চ মূল্য ডলারের রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এমতাবস্থায় ঝুঁকি এড়াতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সহ ঋণদাতাদের সমর্থন চাইছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এলএনজি আমদানির জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত জ্বালানি সংস্থা পেট্রোবাংলাকে ২১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে এ অর্থ টার্ম সাপ্লাই বা স্পট শিপমেন্টের জন্য ব্যবহার করা হবে কিনা তা স্পষ্ট করেনি অর্থ মন্ত্রণালয়।