আওয়ামী লীগকে দেখতে পারে এমন মানুষ দেখি না: মান্না

আওয়ামী লীগকে দেখতে পারে এমন মানুষ দেখি না: মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, দিন দিন জমজমাটভাবে মানুষের মধ্যে রাজনীতির বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে দেখতে পারে এমন মানুষ দেখি না। যারা শুধু সুবিধা পায় তারাই বলে আওয়ামী লীগ আছে। এখন টকশোতে আলোচনা শেষে দেখা হলে আওয়ামী লীগের বক্তারা বলে, বলা লাগে তাই বলি।

তিনি বলেন, সরকার চলে যাবে এই বিষয়ে মানুষ আর আশাবাদী নয়। সরকার তো আর এমনি এমনি যেতে চায় না। বাঘের পিঠে উঠেছে। তাদের নামানো কঠিন। তাদের অনেক বুদ্ধি। কলাকৌশল জানে। ভোট দিলে মানসম্মান থাকবে না।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ‘জ্বালানি তেলের নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধি : বহুমাত্রিক প্রভাব এবং বাংলাদেশের গন্তব্য কোন পথে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মান্না।

তিনি বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন— আমাদের দেশে এই পেট্রোল-অকটেন তৈরি হয়। প্রয়োজনে রপ্তানি করতে পারি, বিদেশ থেকে আনার প্রয়োজন নেই। তাহলে সংকট কেন। তাহলে কি তিনি আসলেই জেনে কথা বলেন নাকি সবসময় না জেনে কথা বলেন। আমরা সবসময় গ্যাস আমদানি করেছি। কিন্তু যে টাকায় আমদানি করি, তার থেকে কম খরচে দেশের মাঠ-সমুদ্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।

মান্না বলেন, মন্ত্রীরা বলছেন— আমরা সংকটে আছি। আইনি পথে ব্যাংকের মাধ্যমে ৭০ হাজার কোটি টাকা আর বেআইনিভাবে ২ লাখ কোটি টাকা বিদেশে চালান হয়। সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয় না। সরকার সেই লোকগুলোকে ধরে না। আবার সংসদে দাঁড়িয়ে বলে, অর্থ পাচারকারীদের তালিকা তাদের কাছে আছে। সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত যখন বলছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের কাছে সুইস ব্যাংকের তথ্য চায়নি। তখন তারা কি জবাব দেবে, এখন হাইকোর্টও জানতে চাইছেন সরকার কি আসলেই আবেদন করেছে কি না। যা জনগণও জানতে চায়।

তিনি আরও বলেন, আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশ কি শ্রীলঙ্কা হচ্ছে। এটা আমাদের কথা নয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সূত্র ধরে বিবিসি বলছে। আসলেই আমরা ঝুঁকিতে।

মান্না বলেন, আমরা ক্রস পথে আছি। কার কাছে ক্ষমতা ছাড়বে, এ নিয়ে বসে থাকলে শুধু সময় বিলম্ব হবে। গায়ের জোরে এই সরকার দেশ চালাতে পারবে না। কোনো ধাক্কা সামলানোর ক্ষমতা আর তারা রাখে না। এখানে আবেগের নদীতে ভাসা যাবে না।

জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম মীর জাফরের কারণে। একাত্তরে স্বাধীন হওয়ার পরে চলেছে লুটপাট। ৫০ বছরেও আমরা যেমন দেশ চেয়েছিলাম, পাইনি। আমরা তো দেশকে শ্রীলঙ্কার পথে যেতে দিতে পারি না। দেশটা আমাদের বাপদাদারা স্বাধীন করে গেছেন।

আলোচনা সভায় জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেনসহ জাগপার নেতারা।