‘বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে দুই লাখ রোহিঙ্গা বিদেশে’

‘বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে দুই লাখ রোহিঙ্গা বিদেশে’

ঢাকা, ২৮ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : এ পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গেছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। তিনি বলেন, বিদেশে নানা অপরাধে জড়িয়ে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করছে তারা।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওয়ার্ল্ড সামিট সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রবাসীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নানা ধরনের জটিলতা নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এম এস শেকিল চৌধুরী বক্তব্য দেন।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছে অন্তত সোয়া কোটি বাংলাদেশি, যাদের পাঠানো অর্থে গতিশীল হচ্ছে দেশের অর্থনীতির চাকা। বিদেশে বাংলাদেশিদের সুনাম যেমন রয়েছে তেমনি কিছুটা দুর্নামেরও ভাগিদার হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রবাসীদের নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে মন্ত্রী জানান, এই দুর্নামের একটি বড় কারণ রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের এ দেশে এনে জাতীয় পরিচয়পত্র কে দিয়েছে? জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে তারা পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে যাচ্ছে। এ সুযোগ কে করে দিয়েছে? গ্রাউন্ড লেভেলে এটা আমরাই করে দিয়েছি। প্রবণতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এটা চলতে দেওয়া যায় না।’

নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে কাজের পরিবেশ নষ্ট করছে। সেখানে তারা নানা ধরনের আকাম-কুকামে জড়িয়ে পড়ছে। বিদেশে রোহিঙ্গারা আমাদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা রোধ করতে হবে।’

বিদেশে দেশের সুনাম ধরে রাখার তাগিদ জানিয়ে, প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আটটি দাবি তুলে ধরা হয় সামিটে। যার মধ্যে পাসপোর্ট নবায়ন, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে আরো সক্রিয় ও বৈধ উপায়ে রেমিটেন্স পাঠানোর ব্যবস্থা, দেশে বিনিয়োগকারীদের ট্যাক্সভীতি দূর করা। দেশের বাইরে থাকা মেধাবীদের দেশে ফিরিয়ে এনে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হবে বলে সামিটে মত দেন বক্তারা।

হোসেন জিল্লুর বলেন, ‘প্রবাসীদের আয় দিয়ে আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধির চাকা সচল হচ্ছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিকে দিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। এ অবস্থায় প্রবাসীদের গুরুত্ব দিতে হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মহিউদ্দিন ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশে ইন্ড্রাস্ট্রি গড়ে উঠছে। এ অবস্থায় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা বিদেশে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রার রডের কারখানায় লোক পাঠাব নাকি তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের কারখানায় নিয়োজিত করব। আর যদি বিদেশে পাঠাতেই হয় তাহলে অদক্ষ শ্রমিক না পাঠিয়ে অবশ্যই তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠাতে হবে। যাতে দেশের অর্থনীতিতে তারা ভূমিকা রাখতে পারে।’

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৬০ঘ.)