নিউইয়র্কে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরব, সেরা সমাধানের চেষ্টা করব

নিউইয়র্কে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরব, সেরা সমাধানের চেষ্টা করব

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের খুব শিগগির মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

সফররত নিরাপত্তা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্ভাব্য সেরা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। নিউইয়র্কে গিয়ে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের পাশে আছে।

ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে সোমবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন।

নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ও পেরুর রাষ্ট্রদূত গুস্তাবো মেজা-চুয়াদ্রা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আমরা প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন। কীভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যায় তার জন্য বাংলাদেশে সরেজমিন অভিজ্ঞতা নিতে এসেছি। এখান থেকে একই বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিতে আমরা মিয়ানমার যাব। সেখান থেকে ফিরে গিয়ে এ সমস্যার সমাধানে সম্ভাব্য সেরা উপায় খুঁজে বের করব।

তিনি আরো বলেন, এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল নয়। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমারকে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি ক্যারেন পিয়ার্স, কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি মনসুর আয়াদ আল-ওতাইবি উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি ক্যারেন পিয়ার্স বলেন, মিয়ানমারে যে হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন ঘটেছে তার বিচার করতে হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করতে হবে।

কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি মনসুর আয়াদ আল-ওতাইবি বলেন, এই সংকটে বাংলাদেশের কোনো হাত নেই। তার পরও বাংলাদেশ যে মহানুভবতা দেখিয়েছে তা মহান। ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়া চারটি কথা নয়।

সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন প্রতিনিধিদলটি।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ দেশের ৩০ প্রতিনিধি গত শনিবার বিকালে বাংলাদেশে আসেন।

সেনাবাহিনীর নির্যাতনে গত বছরের আগস্ট থেকে সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সব মিলিয়ে এখন বাংলাদেশের একাধিক শিবিরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৩০০ঘ.)