অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনে বৃটিশ হাইকমিশনারের গুরুত্বারোপ

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনে বৃটিশ হাইকমিশনারের গুরুত্বারোপ

পরবর্তী দশকগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন। 'যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার' উল্লেখ করে তিনি আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি জাতিসংঘে ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যাপারে তার দেশ খুব আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

আজ রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’ এ বৃটিশ হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। সিজিএস এর নির্বাহী পরিচালক এবং কনভারসেশনের চেয়ার জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় ওই সেশনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার। 

অনুষ্ঠানে অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ, ইনক্লুসিভ ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্যকে সমর্থন করেন অন্য রাষ্ট্রদূতরা। পিটার হাস তার বক্তব্যে বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিকে যা কিছুই হয় সেটা সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলে। এ অঞ্চলকে তিনি সবচেয়ে গতিময় অঞ্চল উল্লেখ করে বলেন, 'এখানে দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর উত্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তন।' 

যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলের দেশগুলোকে কোন পক্ষ নিতে জোর করছে না বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়ে পিটার হাস বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশে এবং সারা বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাবে। গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন হতে চাই এটা বলতে আমাদের কোন লজ্জা নেই।' বাংলাদেশের অনেক মানুষের করোনার সম্পূর্ণ টিকা নেয়ার প্রশংসা করেন তিনি।

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার প্রভাব থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয় বলে স্মরণ করিয়ে দেন মার্কিন দূত। সারা বিশ্বের উন্নতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে একসাথে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি নিজ বক্তব্যে তার দেশের তিনটি গুরুত্বারোপের জায়গার কথা স্মরণ করেন, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা।