বিচারে সাক্ষ্য-প্রমাণের পর্যাপ্ত ঘাটতি: লর্ড কার্লাইল

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ‘রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক’

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ‘রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক’

ঢাকা, মে ৭ (জাস্ট নিউজ): সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া আদালতের সাজা ‘রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক’। মামলাটিতে রায় ন্যায়সংগত কিনা তা প্রমাণেও পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ঘাটতি রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ও সিনিয়র আইনজীবি লর্ড কার্লাইল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার প্রসঙ্গে এমন সোজ-সাপ্টাই মন্তব্য করলেন।

তিনি আরো বলেন, আমি মামলার সবকিছু খতিয়ে দেখেছি, এতে এমন কিছুই নেই যা দিয়ে দাবি করা যায় তিনি (খালেদা জিয়া) কোনো প্রকার অনিয়ম করেছেন।

আন্তর্জাতিক প্রভাশালী গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে মামলা, মামলার রায় এবং অস্বচ্ছতার দিকগুলো নিয়ে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন প্রভাবশালী বৃটিশ আইজীবি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিদোর্ষ এমনটা দাবি করে বৃটিশ এই আইনজীবি এবং একি সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনী পরামর্শক আরো বলেন, আমি অনুসন্ধান আর ঘাঁটাঘাটি করেও দেখেছি এমন কোন তথ্য-প্রমাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি যা দিয়ে খালেদা জিয়াকে এমন কারাদন্ড দেয়া যায়।

সরকার খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নিতে দিবে না এমন পরিকল্পনা থেকেই এই কারাদন্ড দিয়েছে মন্তব্য করে কার্লাইল বলেন, বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। এটা আমার কাছে একদম পরিষ্কার যে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কারাদন্ডের কোন প্রমাণযোগ্য দলিল নেই, তাঁকে গ্রেফতারের একটাই কারণ থাকতে পারে আর যেটা সামনেই প্রতিফলন ঘটবে, সরকার চায় না খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিন। আর এটা ব্যাখার অযোগ্য একটা ভুল কান্ড।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে ৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। একি মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ আরো তিন জনকে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে।

আল-জাজিরার করা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি স্পষ্ট করে জানান দিয়েছে খালেদা জিয়া ছাড়া তারা ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না।

কার্লাইলের মন্তব্যের বিষয়ে সরকার পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এর বিপরীতে কিছু বলতে নারাজি প্রকাশ করেন আল-জাজিরাকে। তিনি জানান, আমি এ কথার কোনো উত্তর দিতে চাই না। এটা আদালতের বিচার।

 

(জাস্ট নিউজ/জিএস/০১৩৪ঘ)