দেশে স্বাস্থ্যখাতে মাথাপিছু ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার টাকা

দেশে স্বাস্থ্যখাতে মাথাপিছু ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার টাকা

দেশে স্বাস্থ্যখাতে মাথাপিছু ব্যয় ৫৪ ডলার বা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১০৫ টাকা হিসাবে)। এ ব্যয় শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের চেয়েও কম বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ব্যয় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে এনজিওগুলোও রয়েছে। আমাদের মাথাপিছু ব্যয় ৫৪ ডলার, যেখানে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের চেয়েও কম।

বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যকাউন্টস’র ষষ্ঠ রাউন্ডের চূড়ান্ত ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনেক সময় বরাদ্দ অর্থ ও অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট ঠিকঠাক ব্যবহার হয় না জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যখাতে এসব ঘাটতি থাকলে দেশ এগোতে পারবে না।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দায়বদ্ধতা ও তদারকি সবচেয়ে বেশি দরকার। দুর্নীতি যদি বন্ধ করা যায় তাহলে অনেককিছুর পরিবর্তন হবে। পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর মতো সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে হবে।

স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তির পকেট খরচ অনেক বেশি উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রোগীর পকেট খরচ কমাতে হলে প্রাইভেট হাসপাতালের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আবার বিদেশেও দেশ থেকে একটা বড় অংশ গিয়ে চিকিৎসা নেয়, তারও একটা প্রভাব এতে পড়ে। এ সেবায় সরকার কী পরিমাণ ব্যয় করে সেটিও সামনে আসা উচিত।

অনেক লজিস্টিক লাগে, প্রচার-প্রচারণার দরকার হয়। নতুন নতুন অবকাঠামো তৈরি হয়, সেখানেও খরচ হয়। মহামারি আসলে আবার বাড়তি ব্যয় হয়। যেটা ভ্যাকসিনেশনে হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা হয়তো জিডিপির শেয়ার কম পাচ্ছি, এটা বাড়ানো দরকার। পকেট খরচ (স্বাস্থ্যখাতে ব্যক্তি পর্যায়ের খরচ) কমাতে হলে প্রাইভেটের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় যন্ত্রপাতিসহ অনেক কিছু নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চিকিৎসা ব্যয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ জন্য তদারকি ও জবাবদিহি বাড়াতে হবে। তবে আশার কথা হলো, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ব্যয় বাড়ছে।