আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ: রমেকে মৃত্যু ২, চিকিৎসাধীন ২৫

আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ: রমেকে মৃত্যু ২, চিকিৎসাধীন ২৫

পৌষের শেষ দিকে এসে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো উত্তরেও জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়ায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুনের পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হচ্ছেন অনেকে। প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন।

বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ২৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী। তাদের শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (০৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নতুন করে পাঁচ নারী রমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে বার্ন ইউনিটে এবং বাকি চারজনকে ১৬ নম্বর (বিশেষ) ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের শরীরের ৭০-৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

তারা হলেন- কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর ফাতেমা বেগম (৬০), একই জেলার ফুলবাড়ির আয়েশা খাতুন (৬৫), লালমনিরহাটের আদিতমারির সফুরা বেগম (৫০), দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার বুললি আক্তার (৩০) ও নীলফামারীর রহিমা বেগম (৬২)।

রমেক বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, আগুন পোহাতে গিয়ে গত ডিসেম্বরে ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ২৫ জন। তাদের শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ডিসেম্বরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আফরোজা (৩৭) ও পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নছিমন বেওয়া (৬৮) নামে দুই নারীর।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শীত মৌসুমে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে প্রতিবছর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সচেতন না হলে এভাবে প্রাণহানি বন্ধ করা সম্ভব নয়। চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত দুই নারীর মৃত্যু হলেও চিকিৎসকদের আশঙ্কা, অগ্নিদগ্ধের সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়বে। এই মৃত্যু রোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আব্দুল হামিদ পলাশ জানান, শীতের কারণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তারা দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শীতের হাত থেকে বাঁচতে আগুনের উত্তাপ নেয়ার বিষয়ে জনগণের সচেতনতা জরুরী।