বাসচাপায় নাদিয়ার মৃত্যু

বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ সহপাঠীদের, যান চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ সহপাঠীদের, যান চলাচল বন্ধ

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাসচাপায় নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়া আক্তার নিহতের ঘটনায় বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করেছেন তার সহপাঠীরা। আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাওলা এলাকায় অবরোধ করেন নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কয়েক শ’ শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নিয়ে নাদিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এতে বিমানবন্দর সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু শিক্ষার্থী অনুরোধ প্রত্যাহার করে অবরোধ চালিয়ে যান। এসময় তারা চারদফা দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের চারদফা দাবি হলো-

১. ভিক্টর ক্লাসিক বাসের রুট পারমিট বাতিল করতে হবে।

২. নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৩. চালক ও হেলপারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে হবে।

৪. কাওলা এলাকায় একটি বাস স্টপেজ করতে হবে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

উল্লেখ্য, গতকাল দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতি সরণিতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন নাদিয়া। তাদের মোটরসাইকেলটিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হন।

তার মোটরসাইকেল চালক বন্ধু অক্ষত ছিলেন। এ ঘটনায় আজ সকালে ঘাতক বাসের চালক ও সহকারীকে বাড্ডার আনন্দনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার বাসচালকের নাম লিটন (৩৮) ও সহকারী মো. আবুল খায়ের।

নাদিয়ার মৃত্যুর পর ভাটারা থানায় নিরাপদ সড়ক আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘাতক বাসটিও জব্দ করা হয়েছে।