পুলিশকে জনগণের বন্ধু ও সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

পুলিশকে জনগণের বন্ধু ও সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষ বিপদে পড়লে যাতে পুলিশকে কাছে পেলে মনে সাহস পায়, পুলিশ বাহিনীকে এটা বুঝেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। পুলিশকে জনগণের বন্ধু ও সেবক হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।’

নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। পুলিশ বাহিনীকে এ স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হয়ে কাজ করতে হবে, এটাই আমরা চাই। বাংলাদেশ যাতে আর পিছিয়ে না যায়, সেদিকে আমাদের সবারই খেয়াল রাখতে হবে।’

আজ রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবীশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।

এরআগে প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার সকালে রাজশাহীতে পৌঁছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে গোটা শহরজুড়ে। বিকেলে তিনি শহরের মাদরাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন। এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সফরে আসেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে আমাদের এ পুলিশ বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার পরিবারের সব সদস্যকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই সময় আমরা দুই বোন দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। ঘাতকরা ওইদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যার করার চেষ্টা করেছিল। আমরা আবার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’

দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখার আশা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যাতে আর কোনদিন মিলিটারি ডিক্টেটরশিপ না আসে। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীন দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক, এটাই আমরা চাই।’

শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী আগুণ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জোরালো ভূমিকা রেখেছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পুলিশবাহিনী জোরালো ভূমিকা পালন করে চলেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনেও পুলিশ বাহিনী উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। এ জন্য আমি পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার পুলিশ বাহিনীর আরও আধুনিকায়নে কাজ করছে। অত্যাধুনিক ও উন্নত সরঞ্জামাদি দেওয়ার ফলে পুলিশ বাহিনী মানুষের কল্যাণে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে। পুলিশ বাহিনী যেন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে, সেদিকেও তাদের খেয়াল রাখতে হবে। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। দেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দিক দিয়ে এখন অনেক এগিয়ে গেছে।’ পুলিশ বাহিনী দেশের উন্নয়নের অংশীদার বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।