বাংলাদেশ থেকে বিদেশী বিনিয়োগ সরে যাচ্ছে?

বাংলাদেশ থেকে বিদেশী বিনিয়োগ সরে যাচ্ছে?

উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক রূপান্তরে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই)। আশির দশকের পরবর্তী সময়ে ভিয়েতনাম, চীন, মেক্সিকো ও ভারতের মতো দেশগুলোর অর্থনৈতিক সম্প্রসারণে অবদান রেখেছে এফডিআই। বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে থাকে এফডিআই। এক যুগের বেশি সময় আগে ২০০৯-এর শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেশে মোট পুঞ্জীভূত এফডিআই (এফডিআই স্টক) ছিল প্রায় ৪৮২ কোটি ডলার। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে ২০২১ সালের শেষে তা প্রথমবারের মতো ২১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পেরিয়ে যায়। ওই সময় এফডিআই স্টক পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ১৫৮ কোটি ১৯ লাখ ডলারে। সেখান থেকে প্রায় ৫ শতাংশ বা ১০৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলার কমে ২০২২ সালের প্রথমার্ধ শেষে দেশে এফডিআইয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৫০ কোটি ৩৫ লাখ ডলারে।

বৈশ্বিক অর্থনীতির দুর্বিপাকে ২০২২ সালের প্রথমার্ধেই সংকটের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এফডিআই প্রবাহও এ সময় হয়ে ওঠে নিম্নমুখী। পাশাপাশি ঘটতে থাকে বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘটনাও। কমে যায় বিদেশী বিনিয়োগের পুঞ্জীভূত পরিমাণ। এর আগে গত দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশে এফডিআই স্টক ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। বর্তমানে ওই ধারাবাহিকতা হারিয়ে এফডিআই প্রবাহে দেখা যাচ্ছে ছন্দপতন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য গত বছর শুরু হয়েছিল অস্থিতিশীলতায়। কভিড-পরবর্তী পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে জ্বালানি পণ্যের বাজারদর ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যেই গোটা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন তৈরি করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সূত্রপাত। এ আলোড়নের আঘাত এসে পড়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। এরই প্রভাব পড়েছে বিদেশী বিনিয়োগের ওপরও।

তবে গত বছরের দুর্বিপাক শুরুর আগে থেকেই বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগের প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল। ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ওষুধ খাতের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান সানোফি। প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাহারকৃত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় অর্ধসহস্র কোটি টাকা। একইভাবে প্রায় এক যুগ ব্যবসা করার পর স্থানীয় প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কাছে নিজ মালিকানার সব শেয়ার বিক্রি করে দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি জুলফার গালফ ফার্মাসিউটিক্যালস। অর্থের অংকে যার পরিমাণ আনুমানিক দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা।

বিনিয়োগ প্রত্যাহারের এ ধারা বজায় রেখে গত বছরের প্রথমার্ধে ইকুইটি মূলধন, পুনর্বিনিয়োগকৃত আয় ও আন্তঃকোম্পানি ঋণ—এ তিন খাতেই দেশে এফডিআই স্টক কমেছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের প্রথমার্ধ শেষে ইকুইটি মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৯৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলারে, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৪৬০ কোটি ১১ ডলার। গত বছরের প্রথমার্ধে দেশে পুনর্বিনিয়োগকৃত আয় ছিল ৩৬৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এর পরিমাণ ছিল ৪১১ কোটি ৬৭ লাখ ডলারে। ২০২২ সালের প্রথমার্ধ শেষে আন্তঃকোম্পানি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮৭ কোটি ২ লাখ ডলারে, যা এর আগের বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ছিল ২৮৬ কোটি ৪১ লাখ ডলারে।

এ সময় এফডিআই স্টকে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের; ৪১৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। এর পরের অবস্থানে ছিল যুক্তরাজ্য। এফডিআই স্টকে এ সময় দেশটির অবদান ছিল ২৪২ কোটি ৭১ লাখ ডলার। এছাড়া স্টকে সিঙ্গাপুর ১৬১ কোটি ৭০ লাখ ডলার, চীন ১৪৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার ও নেদারল্যান্ডস ১৪৩ কোটি ২৩ লাখ ডলারের অবদান রেখেছে।

সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের মতো কমছে বিদেশী পোর্টফোলিও বিনিয়োগও। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে বৈদেশিক পোর্টফোলিও বিনিয়োগের স্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১১ সালের প্রথমার্ধ শেষে এর পরিমাণ ছিল ৪৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এরপর থেকে ২০১৭ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত এর পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং এ সময় শেষে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫৭ কোটি ৫১ লাখ ডলারে। এর পর থেকেই পোর্টফোলিও বিনিয়োগে নানা সময় উত্থান-পতন দেখা গেছে। তবে গত বছরের জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসেই বৈদেশিক পোর্টফোলি বিনিয়োগের পরিমাণ কমছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারি শেষে পোর্টফোলিও বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৯৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলারে, যা গত জুন শেষে ১৫০ কোটি ৬৬ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি ৭৯ কোটি ৯১ লাখ ডলার বিনিয়োগ ছিল। এছাড়া লুক্সেমবার্গ থেকে ২০ কোটি ৫ লাখ ডলার, যুক্তরাজ্য ১৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার, সিঙ্গাপুর ১১ কোটি ২৫ লাখ ডলার ও কানাডা থেকে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ছিল। ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২২ সালের জুন শেষে যুক্তরাষ্ট্র, লুক্সেমবার্গ ও সিঙ্গাপুর থেকে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ কমেছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পুঁজিবাজারে শেয়ারদরের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করার পর থেকে পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্টগুলো চলে যাচ্ছে। বড় বড় কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে এসে আটকে আছে। এর নিচে আর দর নামতে পারছে না। এখন ফ্লোর প্রাইসে কেউ কেনে না, বেচেও না। আরেকটি বড় কারণ হলো বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এখান থেকে অর্থ ফেরত নিতে পারছে না। এমনকি শেয়ার বিক্রি করলেও সে অর্থ ফেরত নেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। যে পরিস্থিতি তাতে দেখা যাচ্ছে একদল বাজার থেকে বের হতে পারছে না। এতে করে নতুন কোনো দল প্রবেশের সাহসও পাচ্ছে না। ফলে নিট পজিশনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপট এখানে একটি বড় ভূমিকা রাখছে। মুদ্রার অবমূল্যায়নের সঙ্গে এফডিআই স্টক কমে যাওয়ার সম্পর্ক থাকলেও সেটা পরোক্ষ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এফডিআই স্টকের ক্ষেত্রে ইকুইটি মূলধন কমে যাওয়াটা অস্বাভাবিক। কারণ আমাদের মূলধন হিসাবগুলো রূপান্তরযোগ্য নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত বহুজাতিক কোনো কোম্পানি তাদের বিনিয়োগের শেয়ার স্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি না করে অথবা বড় পরিমাণে লোকসান না করে, ততক্ষণ এফডিআই স্টক কমার কথা না। আবার কোনো বিদেশি কোম্পানি বাইরের কোনো কোম্পানির কাছে শেয়ার বিক্রি করলেও স্টক কমার সুযোগ নেই। কারণ এতে যে পরিমাণ বিদেশী বিনিয়োগ প্রত্যাহার হবে, তার সমান আবার দেশেও ঢুকবে। তবে ডলারের বিনিময় হারের ভিত্তিতে পুনর্মূল্যায়ন করা হলেও এফডিআই স্টক কমে আসার কথা।

ডলার সংকট এরই মধ্যে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এ সংকটকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে ২০২১-২২ হিসাব বছরের ২২৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার চূড়ান্ত লভ্যাংশ এবং ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের টাকা চলতি মূলধন হিসেবে ব্যবহারের জন্য গত বছর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করেছিল মুম্বাইভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড। সে সময় কোম্পানিটি জানায়, ডলার সংকটের কারণে তাদের বিদেশী বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশের অর্থ নিজ দেশে নিতে পারছেন না। এ অবস্থায় ডলার সংকট দূর না হওয়া পর্যন্ত তারা লভ্যাংশের অর্থ চলতি মূলধন হিসেবে ব্যবহারের জন্য কমিশনের কাছে অনুমোদন চায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি তাদেরকে ডলার সংকট না কাটা পর্যন্ত লভ্যাংশের অর্থ চলতি মূলধন হিসেবে ব্যবসায় কাজে লাগানোর অনুমোদন দেয়।

দ্য ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বণিক বার্তাকে বলেন, বৈশ্বিকভাবেই দেখা যাচ্ছে বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ নিম্নমুখী। ভিয়েতনামেও প্রথমবারের মতো বিদেশী বিনিয়োগ কমেছে। আমাদের এখানে যেহেতু এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, সেখানে এফডিআই আসার সম্ভাবনা স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। অস্থিরতা থাকলেই অবমূল্যায়নের সুযোগ বেশি। আমার ধারণা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে অবমূল্যায়ন এফডিআই স্টক কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। ২৫ শতাংশের মতো আমাদের স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, যেসব দেশেই বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষেত্রে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে, সেখানেই বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে রক্ষণশীল হচ্ছেন। কারণ আজকে যে ডলারটা পাঠাবে, অবমূল্যায়নের কারণে সেই ডলার কালকে কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ সে ফেরত পাচ্ছে কম। স্বাভাবিকভাবেই এ বিষয়ে সবাই সচেতন হবে। কিন্তু বাংলাদেশে বিদেশী দূতাবাসগুলোর সঙ্গে যখন আমরা কথা বলি, যেমন জাপান, চীন, কোরিয়া প্রত্যেকেই বাংলাদেশকে নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশে সুবিধাজনক অবস্থানটি হলো অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি বাড়ছে। কারণ জনসংখ্যা বেশি। ফলে নিকট ভবিষ্যতে বিনিয়োগ নিয়ে সবাই আশাবাদী হলেও এ মুহূর্তে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে সবাই পরিস্থিতি বুঝে নিতে চাইছে। কারণ বিনিময় হারজনিত সংকট ও বাজার স্থিতিশীলতার বিষয়গুলো নিয়েও ভাবতে হচ্ছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য অতিরিক্ত সচিব অভিজিত চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, কভিডের সময় বা পরবর্তী সময়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ সীমিত ছিল। ফলে এফডিআইয়েও এর একটা প্রভাব পড়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি ভার্চুয়ালি সম্মেলন ও যোগাযোগ অব্যাহত রাখার। কিন্তু সেগুলোর প্রভাব তেমন একটা দেখা যায়নি। কারণ সশরীরে আসতে না পারলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন না, এটা বাস্তবতা। আমরা দেখতে পাচ্ছি, গত ছয় মাসে বিশেষ করে সেপ্টেম্বরের পর থেকে বড় ধরনের বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগের শক্তিশালী গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ আবারো বিবেচনায় আসতে শুরু করেছে। গত কয়েক মাসে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আমরা পরামর্শক সভা করেছি। সেখানেও দেখা গেছে পুনরায় বিনিয়োগের বিষয়ে জাপানি ও চীনা বিনিয়োগকারীরা খুবই ইতিবাচক।

এফডিআই স্টকের ইকুইটি ক্যাপিটাল কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি নিয়ে আমাদের মধ্যেও আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে আবারো বলতে হয় বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটার বিষয়টি। বিঘ্ন ঘটায় বড় বিনিয়োগকারীরা ভিয়েতনাম, ভারত, কম্বোডিয়ার মতো আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোয় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি এগিয়ে যাচ্ছে। আস্থার জায়গাটা আরো শক্তিশালী হলে ইকুইটি বাড়বে। বিনিয়োগ প্রত্যাহার হচ্ছে এমনটা আমরা মনে করছি না। সার্বিকভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও পড়েছে। সার্বিক বিশ্ব অর্থনীতি চিন্তা করলে আমরা এখনো স্থিতিশীল পর্যায়ে আছি। যতটা প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছিল ততটা পড়েনি।-বণিক বার্তা