কোটা সংস্কার আন্দোলন

রবিবার মিছিল, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ডাক

রবিবার মিছিল, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ডাক

ঢাকা, ১২ মে (জাস্ট নিউজ) : কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আগামীকাল রবিবার সারা দেশের প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। বিক্ষোভ চলাকালীন সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।

শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদে প্রদত্ত ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে দেশের প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীকাল সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল পালিত হবে। বিক্ষোভ চলাকালীন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

আন্দোলনকারীদের ওপর বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীদের এই আহ্বায়ক। তিনি বলেন, ‘গত পরশু (বৃহস্পতিবার) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার আন্দোলনকারী ভাইয়ের ওপর অতি উৎসাহী কিছু সন্ত্রাসী হামলা চালায়। রংপুরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় এবং আন্দোলনকারীদের ছবি তুলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। এ ছাড়া আজ পরিষদের যগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন আকাশের বাড়িতে (চট্টগ্রামের বাঁশখালি) হামলা হয়েছে।’ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণার ৩১ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি বলে অভিযোগ করেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার তাগিদ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন নতুন কমিটি গঠনের কথা বলে ছাত্র সমাজের সঙ্গে নতুন প্রহসন করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তারা টালবাহানা করছে। আমরা আন্দোলন করেছি, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। তাহলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি হতে এত দেরি কেন? অতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলার ছাত্রসমাজকে শান্ত করুন।’

নুরুল হক নূর বলেন, ‘শুক্রবার আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আজ তারা আমার বাসায় ভাঙচুর করছে। আমি ন্যায়ের জন্য আন্দোলনে এসেছিলাম বলে আজ আমার ও আমার পরিবারের ওপর এই পরিণতি। আমি এর বিচার চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, বিন ইয়ামিন মোল্লা, মাহফুজ খানসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।

এর আগে বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কারে কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রস্তাব পাঠানোর পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান জানান, গঠনের ১৫ দিনের মধ্যে কোটা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেবে কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্য সংখ্যা হতে পারে পাঁচ থেকে সাত। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, লেজিসলেটিভ বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থ সচিব, সরকারি কর্মকমিশনের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিবের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটিতে কে কে থাকবেন, তা নির্ধারণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অনুমোদনের পর কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৪০০ঘ.)