বিজিবি টহল দলের ওপর হামলা, চোরাকারবারি নিহত

বিজিবি টহল দলের ওপর হামলা, চোরাকারবারি নিহত

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বারমারী সীমান্তে চোরাকারবারীদের হামলার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গুলিতে মো. আমিনুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় মো. জায়েদুল ইসলাম (৩৮) নামের আরেক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পাচারকারীদের হামলায় মো. মিনহাজ উদ্দিন নামে বিজিবির একজন হাবিলদার আহত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার বারমারী সীমান্তের লক্ষ্মীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিজিবি নেত্রকোনা-৩১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুর রহমান আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আমিনুল ইসলাম দুর্গাপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে। আহত জায়েদুল একই গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে।

বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বারমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সুপারি পাচারের বিনিময়ে মাদক আসার খবর পায় বিজিবি। এরপর বারমারী বিওপি থেকে হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টহল দল বিশেষ অভিযানে যায়। লক্ষ্মীপুর এলাকায় রাত সাড়ে আটটার দিকে সংঘবদ্ধ একটি চোরাকারবারী দল বাংলাদেশ থেকে সুপারি মাথায় করে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। বিজিবির টহল দল চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা অতর্কিত দেশীয় অস্ত্র, দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। একপর্যায়ে টহল কমান্ডার হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিনকে চোরাকারবারীদের একজন দা দিয়ে কয়েকটি কোপ দেয়। গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় মিনহাজ উদ্দিন আত্মরক্ষার্থে দুই রাউন্ড গুলি করে। এতে চোরাকারবারী আমিনুল ইসলাম ও জায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন।

 

বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী সময় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মো. আমিনুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বিজিবি সদস্য মিনহাজ উদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিজিবির টহল দলের সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত অন্য সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা সাত বস্তা সুপারি জব্দ করা হয়েছে।

বারমারী ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আইনুল হক বলেন, পাচারকারীরা বিজিবির ওপর হামলা চালালে গুলি করা ছাড়া কোনো পথ ছিল না। পাচারকারীদের ধারালো দায়ের কোপে বিজিবির হাবিলদার মিনহাজ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর বাঁ হাতের তিন জায়গায় কেটে গেছে।

নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে দুর্গাপুর থানায় আনা হয়েছে। মরদেহে গুলির চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।