কোটা সংস্কার আন্দোলন

ঢাবিতে সংঘর্ষ ও বাড়ি ভাঙচুরের ৪ মামলার প্রতিবেদন ২৫ জুন

ঢাবিতে সংঘর্ষ ও বাড়ি ভাঙচুরের ৪ মামলার প্রতিবেদন ২৫ জুন

ঢাকা, ১৭ মে (জাস্ট নিউজ) : কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় করা চার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার চার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে চলতি মাসের ১০ এপ্রিল উপাচার্যের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া একই সময় অপর তিনটি মামলা করে পুলিশ। তবে কোনো মামলার এজাহারেই আসামির নাম উল্লেখ নেই। অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিটি মামলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্যে শতাধিক মুখোশধারী উপাচার্যের বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, পাইপ, হেমার, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে উপাচার্যের বাড়ির ওয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। দুষ্কৃতকারীরা ঐতিহ্যবাহী ভবনে সংরক্ষিত মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যানসহ সব মালামাল ভাঙচুর করে। ভবনে রক্ষিত দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

ভবনের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর ও আলামত নষ্টের জন্য কম্পিউটারে রক্ষিত ডিভিআর পুড়িয়ে দেয়। এতে কমপক্ষে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনার পর দিন মামলাটি করা হয়। ৯ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে দোয়েল চত্বর এলাকায় অন্দোলনকারীরা টায়ার ও আসবাবপত্র জ্বালিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখেন। এ সময় পুলিশ এগিয়ে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ সময় পুলিশ তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে পর দিন মামলাটি করেন।

এদিকে ওই দিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজের অপরাধে শাহবাগ থানার এসআই ভজন বিশ্বাস বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। এ ছাড়া ওই একই সময় সিটিএসবির পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির ও কনস্টেবল মো. আবু হেনা মোস্তফাকে ৩০-৪০ জন ছাত্র লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন ওই দুজন। এ ঘটনায় আহত পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির বাদী হয়ে পর দিন অপর আরেকটি মামলাটি করেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১১৩২ঘ.)