বিজয় দিবসে রায় দিয়েছেন এক বিচারপতি!

বিজয় দিবসে রায় দিয়েছেন এক বিচারপতি!

ঢাকা, ২০ মে (জাস্ট নিউজ) : ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। ওই দিন সরকারি ছুটির দিন। কিন্তু সম্পত্তি নিয়ে করা এক দেওয়ানি মামলায় ওই দিনে রায় দিয়েছেন হাইকোর্টের একজন বিচারপতি।

ওই বিচারপতির দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা এক লিভ টু আপিলের শুনানিকালে আজ রবিবার বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে আসে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আবেদনের ওপর ২৪ মে আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।

আদালতে লিভ টু আপিলকারী জোহরা খানমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. ওয়াজি উল্লাহ। এ সময় উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বক্তব্যও শোনেন আদালত।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান ভুঞা (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ওই রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন হাইকোর্টে হেরে যাওয়া জোহরা খানম।

জানতে চাইলে তার আইনজীবী মো. ওয়াজি উল্লাহ বলেন, ‘বগুড়া সদরে অবস্থিত একটি সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন খাজা জয়নুল হক। এই মামলায় বিবাদী জোহরা খানম হাইকোর্টে হেরে যান। এরপর তিনি লিভ টু আপিল করেন। তাতে দেখা যায় ওই বিচারপতি ১৬ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। অথচ ১৬ ডিসেম্বর রায় দেওয়ার সুযোগ নেই, কেননা ১৬ ডিসেম্বর ছুটি।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘লিভ টু আপিলের শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, হাইকোর্টের বিচারপতি ১৬ ডিসেম্বর রায় দিয়েছেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে রায় হতে পারে না। আদালতে বলেছি, বিচারকদের বিচারকাজে সততা, দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এ বিষয়ে আপিল বিভাগ নির্দেশনা দিতে পারেন।’

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে বিচারপতি মিজানুর রহমান ভুঞা’র বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি ওঠে। তিনি ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নিহত ব্লগার রাজীবের ইসলাম ও নবী অবমাননা সংক্রান্ত সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের খামে করে সহকর্মী বিচারকদের মধ্যে বিলি করেন। এ নিয়ে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ওই বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন সংসদ সদস্যরা। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল গঠনে রাষ্ট্রপতির সম্মতি চায়। রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে সম্মতিও দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই বিচারপতির অবসরে যাওয়ার পূর্বে তার ব্যাপারে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১৪৬ঘ.)