ঢাকা, ২১ মে (জাস্ট নিউজ) : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা লিয়াকত আলী মণ্ডল (৪০) নিহত হয়েছেন।
রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার বেলপুকুরে জামিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। র্যাবের দাবি, নিহত লিয়াকত এলাকার মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। নিহত লিয়াকত আলী ম-ল পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়নের নামাজগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় বানেশ্বর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুঠিয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম রবি নিহত লিয়াকত রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না বলে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিলেন। এতে রবি লেখেন, আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি ও জানি। সে একজন সৎ চরিত্রের পরিশ্রমী ছেলে। আমার জানামতে, সে কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত নহে।
মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীদের চাপে সে সময় প্রত্যয়নপত্রটি দিয়েছিলাম। আর তখন আমি ব্যস্তও ছিলাম।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, লিয়াকতের বিরুদ্ধে থানায় আটটি মামলা ছিল।
র্যাব-৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আশরাফুল ইসলাম জানান, রাতে বেলপুকুরের ক্ষুদ্র জামিরা এলাকায় র্যাবের একটি টহল দল মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাবের টহল দলের ওপর অতর্কিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় লিয়াকত মোটরসাইকেল নিয়ে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ লিয়াকতকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৮২৩ পিস ইয়াবা, দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে র্যাব।
নিহত লিয়াকতের স্ত্রী নেহের বানু বলেন, রবিবার দুপুরের আগে থেকে লিয়াকত নিখোঁজ ছিলেন। পরে রাতে তারা খবর পান, লিয়াকত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।
বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, বন্দুকযুদ্ধ থেকে লাশ উদ্ধার করা পর্যন্ত সবকিছু র্যাব দেখছে। আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না।
(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২৪৫ঘ.)