রমজানের চতুর্থ দিন

তীব্র যানজটে ভোগান্তি রাজধানীবাসীর

তীব্র যানজটে ভোগান্তি রাজধানীবাসীর

ঢাকা, ২১ মে (জাস্ট নিউজ) : ভোর থেকেই ছিল ঝুমবৃষ্টি। রাজধানীর অনেক রাস্তাই তলিয়ে যায় এ বৃষ্টিতে। শুরু হয় যানজট। সকালের এ জট স্বাভাবিক হতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়। ইফতারের সময়ও যানজট ছিল অনেক সড়কে। অনেক মুসল্লিই ইফতার করেছেন বাসে বা প্রাইভেট কারে বসে। এমন যানজটে নগরবাসীকে নাকাল হতে হয়েছে রমজানের চতুর্থ দিনে। অফিসমুখী ও অফিস ফেরত নগরবাসী পড়েছিলেন মহাযন্ত্রণায়।

সোমবার সকাল থেকেই কয়েকটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে। উত্তরা থেকে বিমানবন্দর সড়কের প্রায় পুরোটাতেই গাড়ি চলেছে ধীরে ধীরে। সকালে ঘর থেকে অফিস যাওয়ার জন্য বেরিয়েই বৃষ্টির কারণে পানি জমা পথে যানজটে পড়েছেন কর্মজীবীরা। মন্ত্রিসভার বৈঠক থাকায় ভিআইপি চলাচলের কারণেও যানজট বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগেই বিকাল ৩টায় অফিস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজপথে যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রধান সড়কগুলোতে লেগে যায় তীব্র যানজট।

মতিঝিল থেকে শুরু করে মিরপুর ১২ নম্বর পর্যন্ত সড়কে যানবাহনগুলোকে ধীরে ধীরে চলতে দেখা যায়। অনেকে হেঁটেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পল্টন মোড় থেকে আশপাশের প্রতিটি সড়কে ছিল যানজটের ভয়াবহ চিত্র। মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের হাতিরঝিল পয়েন্ট থেকে শুরু করে কারওয়ানবাজার ও তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত পুরো ফ্লাইওভার ছিল যানবাহনে ঠাসা। সাত রাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত সড়কে যানবাহনগুলো চলেছে ধীরে ধীরে। আর কাকরাইল থেকে রামপুরা পর্যন্ত সড়কে ছিল নগরবাসীর সীমাহীন ভোগান্তি। পুরান ঢাকার অলিগলিতে রিকশা-ভ্যানের জট পাকিয়ে বেসামাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। অনেক সিগনালে চতুর্মুখী যানজট লেগে যাওয়ায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

বিকালে ফার্মগেট এলাকায় দেখা যায় বিপুলসংখ্যক ঘরমুখী মানুষের যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে চলমান সব গণপরিবহনই ছিল যাত্রীতে ঠাসা। তবুও অনেকে দৌড়ে ঠেলাঠেলি করে এসব বাসে চড়েন। তবে নারীরা পড়েন সমস্যায়। শেরেবাংলা নগর থেকে পল্লবী পর্যন্ত সড়কে মেট্রো রেলের কাজ চলার কারণে এমনিতেই যানজট লেগে থাকে। তার ওপর কাজীপাড়া ও মিরপুর ১১ নম্বর ক্রসিংয়ে পানি জমে যাওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। যাত্রীদের তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৪৯ঘ.)