যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে আকাশে ৪ ঘণ্টা সৌদি বিমান, রক্ষা পেলেন ১৪১ বাংলাদেশি

যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে আকাশে ৪ ঘণ্টা সৌদি বিমান, রক্ষা পেলেন ১৪১ বাংলাদেশি

ঢাকা, ২২ মে (জাস্ট নিউজ) : নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনার ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ। গত ১২ মার্চ ওই দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরো একটি বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ১৪১ বাংলাদেশি যাত্রী।

মঙ্গলবার মদিনা থেকে ঢাকায় আসার পথে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (এ ৩৩০-২০০) যান্ত্রিক ক্রটির কারণে জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। বিমানটিতে মোট ১৫১ জন আরোহীর মধ্যে ১৪১ জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন।

বিমানটিতে ছিলেন ফেনী জেলার বাকিবিল্লাহ মাছুম (বাকি মাছুম)। বাংলাদেশ থেকে তিনি ওমরা পালন করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। তিনি ওমরা পালনকারী একটি কাফেলার প্রধান ছিলেন। বিমান থেকে নামার পর সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে তিনি একটি স্ট্যাস্টাস দিয়েছ্নে। স্ট্যাস্টাসে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের বর্ণনা দিয়েছেন।

তিনি লিখেন, ‘জীবনে বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম, আল্লাহ আমাকেসহ ১৫১ জন হাজী সাহেবকে বহনকারী সউদি (সৌদি) এয়ারলাইন্সের মদিনা থেকে ছেড়ে আসা সকল যাত্রীকে তার কুদরতের ছায়া দিয়ে হেফাজত করেছেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’। মদিনা থেকে ১২-৩০ মিনিটে প্রথমে ঢাকার উদ্দেশে বিমান যাত্রা করে, কিছুদূর যাওয়ার পর এসি খারাপ হয়ে যায়, পরে আমাদেরকে বিমান থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর ৫-২০ মিনিটে আবারও যাত্রা শুরু করে।

তিনি আরো লিখেন, এরপর ৪ ঘণ্টা এদিক সেদিক গুরাগুরি (ঘুরাঘুরি) করে জেদ্দা এয়ারপোর্টের পাশে অবতরণ করার সাথে সাথে সামনের দুইটা চাকা বাষট (বিস্ফোরণ) হয়ে আগুন ধরে যায়, আমরা কোন মতে লাফ দিয়ে নিচে নেমে যাই, এ রকম দুর্ঘটনায় বাঁচার কোন চান্স ছিল না, আল্লাহ অলোকিকভাবে (অলৌকিকভাবে) আমাদেরকে নতুন জীবন দিয়েছেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন নতুন জীবনটা আল্লার রাস্তায় কাটিয়ে দিতে পারি, **আমিন***।’

বর্তমানে তারা জেদ্দা হোটেলে অবস্থান করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে সৌদি এয়ারলাইন্স এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মদীনা থেকে ঢাকাগামী সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এ সময় বিমানটি সামনের চাকায় আগুন ধরে গিয়েছিল। এতে বিমানটির সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হলেও যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।
(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৩৫১ঘ.)