কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১১৯ জন নিহতের ঘটনায় আসকের উদ্বেগ

কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১১৯ জন নিহতের ঘটনায় আসকের উদ্বেগ

ঢাকা, ৩০ মে (জাস্ট নিউজ) : আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে ১১৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

বুধবার আসকের নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজা গণমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানান।

সংস্থাটি জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসাবে মে মাসের শুরু থেকে র‌্যাব ও পুলিশ সারাদেশে মাদক বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। এ অভিযানে গত ১৫ দিনে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ১১৯ জন নিহত এবং প্রায় ১০ হাজার মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন। র‌্যাব ও পুলিশের বন্দুক যুদ্ধে এতো সংখ্যক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় আসক গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। স্বল্প সময়ে এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আসক জানায়, সরকার থেকে বারবার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার কথা বলা হলেও গণমাধ্যম ও নিহতদের স্বজনরা ঘটনার ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছেন। গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে এ অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে বন্দুকযুদ্ধ থেকে অব্যাহতি দেয়ার বা টাকা নিয়েও বন্দুকযুদ্ধে দেয়ার অভিযোগ এসেছে। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত না থেকেও টেকনাফ পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার একরামুল হকের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার ঘটনাটিও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়।

আসকের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা আবারো সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই, প্রতিটি ব্যক্তির বেঁচে থাকার এবং ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এটি তার সাংবিধানিক অধিকার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলেও এ অধিকার স্বীকৃত। রাষ্ট্র তার কাছ থেকে এ অধিকার কেড়ে নিতে পারে না।’ যেকোনো অপরাধ নির্মূলে যথাযথ সামাজিক ও আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে আসক বলে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী নয় আদালতের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই কেবল ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে সনাক্ত করতে হবে এবং বিদ্যমান আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে। সরকারকে মানবাধিকারের মূলনীতি ও নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে জোর দাবিও জানিয়েছে আসক।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২০২ঘ.)