আছাদুজ্জামান, বেনজীর ইস্যুতে নরম সুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

আছাদুজ্জামান, বেনজীর ইস্যুতে নরম সুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এবং আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে চারদিকে যখন ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে সে মুর্হূতে তাদের পক্ষে সুর নরম করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেবার সময় তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সাবেক আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের কাছে ব্যাখা থাকতে পারে।

সাবেক আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এড়াতে পারেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি যেগুলো বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো খবর আমাদের কাছে আসেনি। আমি যতটুকু জানি, অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে। এখনো তার বিরুদ্ধে সঠিকভাবে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। যেগুলো শুনেছি, তার অবৈধ সম্পত্তির কথা, তাকে তো ডাকা হয়নি, তাকে ডাকা হলে বুঝতে পারব, নিশ্চয়ই তার কোনো ব্যাখ্যা আছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই তার আয়ের উৎস আছে। সেটি দেখতে হবে। অনেক আগে জমির দাম বেড়েছে। বেনজীর আহমেদ অনেক দিন মিশনে ছিলেন। তার ব্যাখ্যা থাকতে পারে। যদি ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তখন দুর্নীতির প্রশ্ন আসবে।’

এমপি আনার হত্যার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত শেষ হলে সব বলতে পারব। ডিবি সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে কাজ করছে।’

এখন বিপুল সম্পদ অর্জন নিয়ে আলোচনায় এসেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান।

আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয় ঈদুল আজহার আগের দিন রবিবার ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার খবরকে কেন্দ্র করে। ওই খবরে বলা হয়, পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট, ছেলের নামে একটি বাড়ি এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি।

যদিও আছাদুজ্জামান মিয়া ১৬ জুন মুঠোফোনে একটি দৈনিকের কাছে দাবি করেছেন, তার সব সম্পদ বৈধ আয়েই কেনা। তার ছেলে ও মেয়ের নামে যেসব সম্পত্তির কথা বলা হয়েছে, সেটা অর্জনের সামর্থ্য তারা রাখেন। এগুলো তার বৈধ আয়ের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।