নোয়াখালীতে থানায় সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যা

নোয়াখালীতে থানায় সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যা

নোয়াখালী, ২ জুন (জাস্ট নিউজ) : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানা হাজতে এক সিএনজি চালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, বাবাকে মারধরের অভিযোগে আটক ওই যুবক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তবে নিহতের বাবার অভিযাগ, তার ছেলেকে থানা হাজতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের নাম তাজুল ইসলাম তুষার (২৩)। তিনি দেউটি ইউনিয়নের দুর্গা দৌলতপুর গ্রামের মমিনুল্লাহর ছেলে।

মমিনুল্লাহ জানান, তার ছেলে পেশায় সিএনজিচালক। পারিবারিক কোন্দল নিয়ে তার ছেলে প্রায়ই তাকে মারধর করতো। শুক্রবার রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে ছেলে তাকে মারতে আসে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল খায়েরের মাধ্যমে তাকে পুলিশে দেয়া হয়। রাতে সোনাইমুড়ি থানার এসআই হারুনসহ আরো দুই পুলিশ সদস্য এসে তার ছেলেকে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় এসআই হারুন বলতে থাকেন-‘চল, যা করব, থানায় নিয়ে করব’।

জানা গেছে, থানা হাজতে তুষারের সঙ্গে আরো দুই আসামি ছিলেন। তারা হলেন- বদরগাঁও গ্রামের আজিজুল্লাহর ছেলে মাসুদ আলম (২৮) এবং বাড়াইনগরের সাহাবুদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৮)।

মমিনুল্লাহর প্রশ্ন, থানা হাজতে তাদের সামনে কীভাবে তার ছেলে আত্মহত্যা করল।

মমিনুল্লাহর অভিযোগ, থানায় নিয়ে তার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মারা যাওয়ার পর তার লাশ হাজতখানার দরজার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
তবে পুলিশের দাবি, তুষার তার নিজের পরনের লুঙ্গিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

সোনাইমুড়ি থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, স্থানীয় মেম্বর আবুল খায়ের আমাকে ফোন করে জানান, এক ছেলে তার বাবাকে মারধর করছে। পরে এসআইকে হারুনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে এসআই হারুন বলেন, ওসি স্যার আমাকে ফোন করে ঘটনাস্থলে যেতে বললে রাতে আমি গিয়ে তাকে ধরে থানায় নিয়ে আসি। বাবাকে মারধরের অভিযোগে আটক করা হলেও তুষারের কাছে ৯টি ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন এসআই হারুন।

এদিকে মৃত্যুর সময় নিয়ে পুলিশের দুই রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। ওসি বলছেন, ভোর ৬টায় তুষারের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে ডিউটি অফিসার বলছেন, ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে সে মারা গেছে। আবার এসআই হারুন বলছেন, তুষার রাত ৪ টায় মারা গেছে।

অপরদিকে তুষারকে রাত ৩টায় থানায় আনার কথা এসআই হারুন জানালেও ইউপি মেম্বর আবুল খায়ের বলছেন, তাকে রাত ২টায় থানায় নেয়া হয়েছে।

জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪১০ঘ.)