৮৫ পাউন্ডের কেক কেটে ড. এমাজউদ্দীন আহমদের জন্মদিন পালন

৮৫ পাউন্ডের কেক কেটে ড. এমাজউদ্দীন আহমদের জন্মদিন পালন

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ৮৫ পাউন্ডের কেক কেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ এবং ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইয়োডা) বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের ৮৫ তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে।

স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে এলিফ্যান্ট রোডে ড. এমাজউদ্দীনের বাসার নিচ তলায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সকলের প্রতি কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করে এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, ১৬ ডিসেম্বরে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা পরাধীনতার ব্যথা থেকে মুক্তি পেয়েছি। তবে আমাদের স্বপ্ন ও দাবিগুলো আজও পুরণ হয়নি। এসময় ‘কাউকে আঘাত দিয়ে কথা না বলার জন্য’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি পরামর্শ রাখেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন।

ড. এমাজউদ্দীনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, উনাকে শ্রদ্ধা জানাই, উনি আমাদের মধ্যে আছেন, কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি যেন শেষ সময় পর্যন্ত সুস্থভাবে কাজ করে যেতে পারেন- এই দোয়া করছি।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একদিকে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী- দুজনই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের হিড়িক সৃষ্টি করেছে; একের পর তারা আচরণবিধি ভঙ্গ করছে, সেদিকে নির্বাচন কমিশনের কোনো পদক্ষেপ নেই। সেদিকে তাদের কোনো নজর নেই, তারা নির্বিকার।

রংপুরে মেয়র পদে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বর্তমান মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মনোনয়ন দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে রংপুর মহানগর সহসভাপতি কাওসার জামান বাবলা।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, একটু ত্রুটি পেলেই ‘ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে’ একের পর এক জরিমানা করা হচ্ছে। বিএনপির প্রার্থীকে মামলা দিয়ে ‘আউট করা’র চেষ্টা করেও পারেনি হাই কোর্টের কারণে, শুধু তাই নয়, বিএনপির পক্ষে যারা প্রচারণা করছেন তাদের বিরুদ্ধে তারা (স্থানীয় প্রশাসন) একের পর এক আইন জারি করছেন, জারিমানা করছেন, শাস্তি দিচ্ছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ‘র সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন, সাংবাদিক এম এ আজিজ, আবদুল হাই শিকদার ও জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বক্তব্য দেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিএনপির অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, ফরিদা ইয়াসমীন, অপর্না রায়, খালেদা ইয়াসীমন, মনিরুজ্জামান মুনির, মিয়া মো. আনোয়ার, জাকির হোসেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, যুগ্ম মহাসচিব শামসুদ্দিন পারভেজসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ ১৯৩২ সালে অবিভক্ত বাংলার মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার কালিনগরে জন্ম করেন। পরে তার পুরো পরিবার রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্থায়ী বসতি স্থাপন করে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছাড়াও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। এখন তিনি ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইয়োডা) উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৩০ঘ.)