‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে ২০ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ

‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে ২০ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ

ঢাকা, ৪ জুন (জাস্ট নিউজ) : রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে শীর্ষ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে ২০ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ওরফে ভোদলকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রাতে থানায় তাকে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে পুলিশ। শনিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। ২০ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ পুলিশ অস্বীকার করেছে।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদরের ফায়ার সার্ভিসের মোড় থেকে পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ভোদলকে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার করা হয়। একই দিন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরো কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ভোদল ছাড়া অন্যদের বিকালে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরদিন সকালে ভোদলকে আদালতে হাজির করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, মাদকবিরোধী অভিযানে ভোদলকে গ্রেফতার করার পর ‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেই ভোদলকে রাতে থানা হাজতে রেখে দেয়া হয়। ভোদলকে গ্রেফতারের পর তার বাড়িতে যান গোদাগাড়ী থানা পুলিশের একজন এসআই ও দু’জন কনস্টেবল। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তারা টাকা আদায় করেন।

এ কারণে এক রাত থানায় রেখে পরদিন সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ভোদলের গ্রেফতার ও আদালতে তাকে চালান দেয়ার খবর গোদাগাড়ীতে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়।

পুলিশের পিকআপে ভোদলকে আদালতে না পাঠিয়ে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে করে পাঠানোর অভিযোগও উঠেছে। এ সময় দুই পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে ভোদলের ভাতিজা আরেক মাদক ব্যবসায়ী আলামিনও একই মাইক্রোবাসে চড়ে আদালতে যান। আর ভোদলের পরিবারের পক্ষ থেকে মাইক্রোবাসের ভাড়া পরিশোধ করা হয়।

জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী ভোদলের বাড়ি গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি মহল্লায়। তার বাবার নাম আফসার আলী ওরফে ডাকু। কয়েক বছর আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডাকু নকশিকাঁথার সুতা বিক্রি করে সংসার চালাতেন। আর তখন মহিষালবাড়ি পশুহাটে করিডোরে লেখার কাজ করতেন ভোদল।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৩০৯ঘ.)