ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩০ কি.মি. যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩০ কি.মি. যানজট

ঢাকা, ১৩ জুন (জাস্ট নিউজ) : ঈদযাত্রায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই এই অসহনীয় যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও মুগ্ধাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মেঘনা সেতুর সংযোগ সড়কের উচ্চতা, টোল আদায়ে সারিবদ্ধ গাড়ির লাইন ও আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

হাইওয়ে পুলিশ, গজারিয়া ও সোনারগাঁও থানা পুলিশ যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান মুন্সীগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর-গজারিয়া সার্কেল) খন্দকার মো. আসাদুজ্জামান।

অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সৃষ্ট যানজটে আটকা পড়ে যানবাহনে থাকা নারী ও শিশু যাত্রীরা প্রচণ্ড গরমে ও খাবার পানির সঙ্কটে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে।

হাইওয়ে ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র শবে কদরের ছুটি থাকায় বুধবার ভোর থেকেই ঘরমুখো যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেই সঙ্গে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। তাই অনেকেই বৃহস্পতিবারের ছুটি নিয়ে বুধবার থেকেই ‘নারীর টানে গ্রামের বাড়ি’ ফিরতে শুরু করেছেন। ফলে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। এছাড়া পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে পণ্যবাহী যানবাহনগুলো ঢাকার দিকে যাচ্ছে।

যাত্রীবাহী চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মুগ্ধাপাড়া এলাকায় ঢোকার পরই তারা তাদের গাড়ি ধীর গতিতে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছুদিন এগিয়ে মেঘনা সেতুর কাছাকাছি গেলেই সৃষ্ট যানজটের কবলে পড়েন। সেতুর সংযোগ সড়কের উচ্চতায় পার্থক্য ও টোল আদায়ের এই সময়ে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান প্রাইভেটকার যাত্রী মেজবাহুল ভুইয়া ইমন।

গজারিয়ার বালুয়াকান্দি এলাকার আমিরুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সৃষ্ট যানজট সোনারগাঁও উপজেলার মুগ্ধাপাড়া থেকে গজারিয়ার সীমান্তবর্তী মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটে শত শত ঈদ ঘরমুখো যাত্রীবাহী যান আটকা পড়েছে। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি সহকারী পুলিশ সুপার খন্দকার মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে গজারিয়া থানা পুলিশ সৃষ্ট যানজট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৭২০ঘ.)