নবম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা

নবম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা

ঢাকা, ১৮ জুন (জাস্ট নিউজ) : বেতনের সরকারি অংশের (এমপিও) দাবিতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের পর টানা নবম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে প্রেসক্লাবের উল্টো পাশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা ‘কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না’, ‘এমপিও না দিলে, বাড়ি ফিরে যাব না’, ‘এক দফা এক দাবি, এমপিওভুক্তিকরণ চাই’-এসব স্লোগান দেন।

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘বেতন না পাওয়ায় তারা রাজপথে ঈদ পালন করেছেন। তাদের পারিবারের সদস্যরাও না খেয়ে আছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমপিওভুক্ত না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

ফেডারেশনের সভাপতি আরো বলেন, ঈদের জন্য আমাদের আন্দোলন (অবস্থান কর্মসূচি) আধা বেলা হলেও আজ থেকে দিনরাত কর্মসূচি পালিত হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমপিভুক্ত করা না হবে ততক্ষণ আমরা রাজপথেই অবস্থান করব।

এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন। টানা ওই অবস্থান ও অনশনের একপর্যায়ে ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাঁর তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে আশ্বাস দেন। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। এরপর সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, নতুন অর্থবছরে নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে।

কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করেন, সেখানে তিনি নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলেননি। যদিও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা থেকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হবে।

এবারের বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের জন্য ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে খাতওয়ারি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ। তবে বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়, কারিগরি বিদ্যালয় ও কলেজ নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৩০৫)